“বাংলা একাডেমি সংস্কার” তথা ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার সহযোগীদের অপসারণ, পুরনো ফেলো ও সদস্য বাতিল, নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত একাডেমির সমস্ত আয়োজন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন সময়ের আলোচিত তরুণ কবি পলিয়ার ওয়াহিদ। উল্লেখ্য, জুলাই বিপ্লবের শুরু থেকেই এই কবি স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চকিত ছিলেন এবং এমনকি হাসিনা সরকার তৎকালীন যে সরকার বিরোধী কবি-সাহিত্যিকদের নামের তালিকা করেছিলেন তাতেও তার নাম ছিল। অর্থাৎ, জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হলে দুঃসহ পরিণাম ভোগ করতে হতে পারত এই কবিকে। কবির বইমেলা বয়কটের ডাক দেওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে তার এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, “বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও উপ-পরিচালক আজম-সরকার বার বার দাবি মেনে ফের রাতের ভোটের মতো প্রতারণা করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “উল্লেখ্য, অভ্যুত্থানের পর পরই বাংলা একাডেমির দালাল চাটুকার কর্মকর্তারা তাদের পুরনো বন্ধুদোস্তদের নাম বাদ দিয়ে লেখকদের নতুন তালিকা করেছিল। একাডেমি থেকে ফোন দিয়ে আমাদের কবিতা চেয়েছিল। বার বার চাওয়ার পরও না পাঠানোই বাংলা একাডেমির ডিজির কথা বলে অনুরোধ করাই আমি কবিতা দিয়েছিলাম। আজ বাংলা একাডেমি থেকে (আসাদ আহমেদ) ফোন দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি ‘লেখক বলছি’ মঞ্চের অতিথি হওয়ার দাওয়াত দেন। সেই দাওয়াত আমি সবিনয়ে ফিরিয়ে দিয়েছি। এবং একইসঙ্গে আগে পাঠানো কবিতা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছি। হাসান রোবায়েতের সম্পাদনায় গণঅভ্যুত্থানের সংখ্যা’য় লেখা পাঠালেও সেখান থেকে প্রত্যাহার করেছি।
Leave a Reply