
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির কে ফিল্ড মার্শাল পাকিস্তান পদে উন্নীত করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনা এবং দুই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযানে তার সাহসী নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সামরিক ঐতিহ্যে গঠিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদ ‘ফিল্ড মার্শাল’ এর মর্যাদায় এর আগে কেবল জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান ভূষিত হয়েছি লেন। এবার সেই সম্মান পেলেন জেনারেল মুনির।
সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পহেলগামে হামলার জেরে ৬ ও ৭ মে রাতে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মিরে হামলা চালায়, যাতে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান এবং ড্রোন জব্দের মতো উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত ১০ মে মার্কিন হস্তক্ষেপে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়, যদিও এর কোনও নির্দিষ্ট মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘মারকায়ে হক’ ও ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’-এ দৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী কৌশল এবং আন্তঃবাহিনী সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় অসাধারণ অবদানের জন্য জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে।
এই পদোন্নতির প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, যা মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তটি গ্রহণের আগে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকেও অবহিত করা হয়।
এছাড়া, বিমানবাহিনী প্রধান জাহার আহমেদ বাবর সিধুর মেয়াদোত্তীর্ণের পরও তাঁর সেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, শহীদ, যুদ্ধাহত এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রাষ্ট্রীয় পদক প্রদানের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রতিক্রিয়ায় জেনারেল আসিম মুনির বলেন, “এই পদমর্যাদা শুধু আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়; এটি পুরো জাতি এবং পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থার প্রতীক। আমি এটি উৎসর্গ করছি সেই সকল শহীদ, যুদ্ধাহত এবং বীর নাগরিকদের, যাঁরা পাকিস্তানের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।”