চীন পাকিস্তান বন্ধুত্ব অনেক পুরনো । আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে চীন জানিয়েছে, পাকিস্তানের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সবসময় পাশে থাকবে বেইজিং। মঙ্গলবার (২০ মে) বেইজিংয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীর হামলার পর ভারতের সঙ্গে চারদিনের উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়াং ই বলেন, চীন পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং দুই দেশের মধ্যে বিরোধ নিরসনে সংলাপের মাধ্যমেই মতপার্থক্য মেটানো উচিত।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, ওয়াং পাকিস্তানকে ‘আয়রনক্লাড ফ্রেন্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং ‘সর্বকালীন কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব’ আরও জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসহাক দারও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বে সমর্থনের জন্য চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে দুই দেশ দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) ২.০, এবং ভবিষ্যৎ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি অনুযায়ী, উভয় দেশের মন্ত্রীগণ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে একমত হন এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই সফরের অংশ হিসেবে ইসহাক দার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাওয়ের সাথেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে বেইজিংয়ে অবস্থান করছেন।
বিশ্ব রাজনীতির জটিল প্রেক্ষাপটে চীন পাকিস্তান বন্ধুত্ব কৌশলগত ,অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) অঞ্চলীয় স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি । এই অংশীদারিত্ব দক্ষিণ এশিয়ায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ ভূরাজনৈতিক পরিবেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।