শরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের বাধার কারণে প্রাণ হারিয়েছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বয়সের এক নবজাতক। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে স্থানীয় সিন্ডিকেটের সদস্যদের হাতে ৪০ মিনিট আটকে থাকায় অক্সিজেন মাস্ক খুলে গিয়ে শিশুটি মারা যায়।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে কনেশ্বর গ্রামের নূর হোসেন সরদারের স্ত্রী রুমা বেগম প্রসব ব্যথা অনুভব করলে তাকে জেলার নিউ মেট্রো ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সিজারিয়ান অপারেশনে ছেলে সন্তানের জন্ম হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই নবজাতকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। চিকিৎসকরা দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পরিবার একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রওনা দিলে পথে চালক সবুজ দেওয়ান ও আবু তাহের দেওয়ান গাড়ি থামিয়ে চাবি কেড়ে নেন এবং চালককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তাদের দাবি ছিল—শুধুমাত্র তাদের অ্যাম্বুলেন্সেই রোগী ঢাকায় যাবে। অনুরোধ ও পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝানো সত্ত্বেও তারা গাড়ি ছাড়েনি, যার ফলে শিশুটি গাড়িতেই মারা যায়।
শিশুটির স্বজনরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, সময়মতো ঢাকায় নিতে পারলে নবজাতক বেঁচে যেতে পারত। তারা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর দুই চালক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছেন এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শরীয়তপুরে দীর্ঘদিন ধরে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের প্রভাব চলছে। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও শোক বিরাজ করছে এবং অনেকে আশঙ্কা করছেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে আরও নিরীহ প্রাণহানি ঘটবে।