দক্ষিণ কোরিয়ায় আগাম ভোটে রেকর্ড, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে তীব্র উত্তেজনা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কুবির সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর কওমি ডিগ্রিধারীদের জন্য কাজী হওয়ার দরজা খুলল; আরও সরকারি খাত উন্মুক্তের দাবি সীমান্তে তীব্র গুলি বিনিময়, পাকিস্তান–আফগানিস্তান উত্তেজনা চরমে জাককানইবিতে সমুদ্র ও জলবায়ু–বিষয়ক ‘Exploring the Blue Earth’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুধকুমার নদে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপ, স্বস্তিতে তীরবর্তী বাসিন্দারা ইবিতে জুলাই বিপ্লববিরোধী অভিযোগে ফের ৯ শিক্ষক বরখাস্ত নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর মানবিক উদ্যো‌গে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম নির্বাহী পরিচালক হলেন মো. সাদি উর রহিম জাদিদ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা জামায়াতের মনোনয়নে কে এই হিন্দু প্রার্থী

দক্ষিণ কোরিয়ায় আগাম ভোটে রেকর্ড, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে তীব্র উত্তেজনা

আল-জাজিরা
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ৮১ বার দেখা হয়েছে
ছবিঃ সংগৃহীত

অভিশংসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের স্থলাভিষিক্ত হবেন কে? দক্ষিণ কোরিয়ায় চোখ বিশ্ব মোড়লদের।

দক্ষিণ কোরিয়ায় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগাম ভোটে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া আগাম ভোটে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ।

এই সংখ্যাটি দক্ষিণ কোরিয়ার মোট ৪ কোটি ৪৩ লাখ ভোটারের এক চতুর্থাংশেরও বেশি, যা আগাম ভোটের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হচ্ছে শুক্রবার, আর মূল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার।

এবারের নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশটির অভিশংসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের স্থলাভিষিক্ত হবেন কে—এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। গত ডিসেম্বরে ইউন সেনা শাসন জারি করে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেন। পরে জাতীয় সংসদের হস্তক্ষেপে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।

ইউন দাবি করেছিলেন, সরকারে “রাষ্ট্রবিরোধী ও উত্তর কোরিয়া ঘনিষ্ঠ শক্তি” অনুপ্রবেশ করেছে, তাই তিনি বিরোধী রাজনীতিকদের আটক ও সেনা শাসনের ঘোষণা দেন। একই মাসে তাকে অভিশংসন করা হয়, তবে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতা ছাড়েন চলতি বছরের এপ্রিল মাসে, যখন সাংবিধানিক আদালত অভিশংসন বৈধ ঘোষণা করে।

সর্বশেষ জনমত জরিপে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ং এগিয়ে রয়েছেন ৪২.৯ শতাংশ সমর্থন নিয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনের পিপল পাওয়ার পার্টির কিম মুন-সু পেয়েছেন ৩৬.৮ শতাংশ সমর্থন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন নিউ রিফর্ম পার্টির রক্ষণশীল প্রার্থী লি জুন-সিওক, যিনি পেয়েছেন মাত্র ১০.৩ শতাংশ ভোটার সমর্থন।

নির্বাচনী প্রচারপর্বেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন প্রচারসামগ্রীতে ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েছে এবং এ-সংক্রান্ত ঘটনায় অন্তত ৬৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়া প্রাণনাশের হুমকির কারণে লি জে-মিয়ং বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরছেন এবং নির্বাচনী সমাবেশে বুলেটপ্রুফ কাচ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, এখন পর্যন্ত লি ও নিউ রিফর্ম পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধে মোট ১২টি হুমকিমূলক সামাজিক মাধ্যম পোস্ট শনাক্ত করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার এই নির্বাচন কেবল একটি নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন নয়, বরং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকট ও বিভক্তির পর এক ধরনের গণতান্ত্রিক উত্তরণ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT