গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানজুড়ে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বর্ষায় মোট প্রাণহানি সংখ্যা ২৪২-এ পৌঁছেছে।
উত্তরের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং ২০০ জনের বেশি পর্যটক আটকে পড়েন। সরকার জানিয়েছে, পরে তাদের উদ্ধার করে চিলাস শহরে আশ্রয় দেওয়া হয়। এখনও অন্তত ১৫-২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলছে। প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহারের প্রস্তুতিও রয়েছে।
এর আগে সোমবার, একই অঞ্চলের দিয়ামার জেলায় আরও চার পর্যটক নিহত হন এবং ১৫ জন নিখোঁজ হন বন্যার কারণে।
এছাড়া পাশের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে শিশু সহ অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে, বেশিরভাগই ঘরবাড়ি ধসে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (NDMA) জানিয়েছে, এ বছরের বৃষ্টিপাত গড়ের চেয়ে অনেক বেশি। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যা থেকে এখনো পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে পারেনি দেশটি, যেখানে প্রায় ১,৭০০ জন নিহত ও ৩ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন।
গিলগিট-বালতিস্তান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই হিমবাহ-সংলগ্ন হ্রদ থেকে হঠাৎ বন্যার আশঙ্কা জানিয়ে সতর্কতা জারি করেছিল। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, অনেক পর্যটক সতর্কতা মেনে চললেও, কিছু মানুষ হয় সেটি দেখেননি কিংবা উপেক্ষা করেছেন।
অন্যদিকে, রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে এক আবাসিক এলাকায় দুটি যাত্রীবাহী গাড়ি প্রবল স্রোতে ড্রেনের পানিতে ভেসে যায়। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে।