ঈদে রেমিট্যান্সের জোয়ার: ৩ দিনে ৭ হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠালেন প্রবাসীরা। বেড়েছে রিজার্ভ। - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
প্রতিহিংসার রাজনীতি না উন্নয়ন: কোন পথে বাংলাদেশ? ঈদে রেমিট্যান্সের জোয়ার: ৩ দিনে ৭ হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠালেন প্রবাসীরা। বেড়েছে রিজার্ভ। ৫৫ মাসের নীরবতা ভেঙে ফিরল সেই পুরোনো ফুটবল — ‘বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!’ গর্জালো জাতীয় স্টেডিয়াম বিশ্বজুড়ে লাখো মুসলমান মক্কায়, শুরু হলো পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি, গুজব উড়িয়ে দিলো সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে জোর জামালপুর থেকে ঢাকায় কোরবানির গরু নিতে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন, ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি নির্বাচন পেছানোর কোনো প্রয়োজন নেই, এক মাসেই জরুরি সংস্কার সম্ভব: সালাহউদ্দিন আহমেদ নোবিপ্রবিতে গবেষণা তহবিলের ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাত , কম্পিউটার অপারেটর সাময়িক বরখাস্ত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নামে গণহত্যা! শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ – গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ঈদে রেমিট্যান্সের জোয়ার: ৩ দিনে ৭ হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠালেন প্রবাসীরা। বেড়েছে রিজার্ভ।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫
  • ২৭ বার দেখা হয়েছে
Remittance

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে দেশের অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের জোয়ারে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। চলতি জুন মাসের প্রথম তিন দিনেই দেশে এসেছে ৬০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকারও বেশি। গত বছরের এই সময়ে এসেছিল ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ফলে এক বছরে প্রবৃদ্ধি ১১১ দশমিক ৬০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, এবারের ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশু কেনা, পোশাক, উপহার ও পারিবারিক ব্যয়ের জন্য প্রবাসীরা ব্যাপক হারে টাকা পাঠাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু পরিবারের আয় বাড়াচ্ছে না এই রেমিট্যান্স, দেশের অর্থনীতিতেও দারুণ প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হয়ে উঠেছে। ঈদের বাজার গরম, গরু-ছাগলের হাট জমজমাট, আর নগদ টাকার প্রবাহে ব্যবসা-বাণিজ্যে লেগেছে বাড়তি গতি।

সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নানা প্রণোদনা দিচ্ছে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য। ডিজিটাল চ্যানেলে অর্থ পাঠানো সহজ হওয়ায় হুন্ডির প্রতি আগ্রহ কমেছে। ফলও মিলছে হাতে হাতে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৩ জুন পর্যন্ত দেশে এসেছে ২ হাজার ৮১১ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ১৬৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ২৯ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এদিকে শুধু জুনেই নয়, চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের ইতিহাসে এক মাসের সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এরপর এপ্রিলে এসেছে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার। ঈদকেন্দ্রিক খরচের কারণেই মূলত এই প্রবাহ বেড়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

রেমিট্যান্সের পাশাপাশি সুখবর এসেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৪ জুন পর্যন্ত মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী তা ২০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক মাস আগের তুলনায় রিজার্ভ বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ঈদের পরও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব থাকবে। কারণ ঈদ মৌসুমে গ্রামে নগদ টাকার যে সরবরাহ বাড়ে, তা কৃষি, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও দৈনন্দিন জীবিকায় ব্যাপক অবদান রাখে।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি এবং মার্চে তিন বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এই ধারাবাহিকতা দেশের অর্থনীতিতে এক ধরনের স্থিতিশীলতা আনছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক ও বিদেশি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমেই এই রেমিট্যান্স এসেছে। শুধু মে মাসেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় এসেছে ৮১ কোটি ডলার, বেসরকারি ব্যাংকে ১৮৭ কোটি ডলার।

অর্থাৎ প্রবাসীদের এই অর্থপাঠ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এখন রীতিমতো রক্তসঞ্চালনের কাজ করছে। বাজারে নগদ টাকার সরবরাহ বাড়ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। প্রবাসীদের এই অবদানকে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি বলছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT