নোটিশ:
শিরোনামঃ
বিজিবির পা ধরে ক্ষমা চাইলো বিএসএফ: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশীয় প্রযুক্তিতে রেল টার্ন টেবিল উদ্ভাবন করে আন্তর্জাতিক সম্মান পেলেন প্রকৌশলী তাসরুজ্জামান বাবু ইউরোপে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিপর্যয় সরাসরি ট্রেন চালুর দাবিতে সড়ক অবরোধ: লালমনিরহাটে আন্দোলন তীব্র উপদেষ্টাদের এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ৪০, আহত ১২০০, নেপথ্যে ইসরায়েল জাবিতে হামলার ঘটনায় ২৫৯ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত আন্ডারওয়ার্ল্ডের নতুন কৌশল: ‘মব’ সৃষ্টি করে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আধিপত্য

যে ঐতিহাসিক কারণে বাঙালির অল্প বয়সে ডায়াবেটিস হয়

অনন্ত বশির
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৫১ বার দেখা হয়েছে
ডায়বেটিস
টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হবার পর আমরা অনেকেই মনে করি, আমার বাবার ডায়বেটিস, আমার চাচার ডায়বেটিস, মায়ের ডায়বেটিস, আত্মীয় স্বজন সবারই ডায়বেটিস।
তার মানে, সম্ভবত আমি বংশগতভাবে ডায়বেটিসটা পেয়েছি।
খেয়াল করলে দেখবেন, আপনার আগের জেনারেশনে ডায়বেটিস শুরু হয়েছিল চল্লিশ-পয়তাল্লিশের পর। তার আগের জেনারেশন, অর্থাৎ নানা-দাদাদের জেনারেশনে ডায়বেটিস শুরু হয়েছিল দেখবেন ৫৫-৬৫ বছর বয়সের দিকে।
এর আগের জেনারেশনে একটু খোজ খবর নিলে দেখবেন ডায়বেটিস ছিল কিনা মানুষ বুঝতো না বা জানতো না। কিন্তু আমেরিকান-ব্রিটিশ হেলথ সিস্টেমের ডেটা থেকে আমরা বুঝতে পারি, টাইপ টু ডায়বেটিস ১৯৬০ সালের আগে খুব অল্প মানুষেরই হত।
তাই আমার কাছে মনে হয়, ডায়বেটিসের জিনেটিক রুট খোজাটা আসলে বৃথা চিন্তা। একশো বছর না, মাত্র ৫০ বছর আগে গেলেও ডায়বেটিস ১% মানুষের মধ্যেও পাওয়া যাবে না।
এবার আসুন একটু মাথা খাটাই।
আপনার দাদা কোন চাল খেতেন?? বাদামী চাল, মোস্টলি, ফুল ফাইবার। গাড়ি, রিকশা, টেম্পু খুব একটা এভেইলেবল ছিল না। তারা হাটতেন বা সাইকেলে চড়তেন।
আপনার বাবা-চাচাদের ছেলেবেলাও এভাবেই কেটেছে। আমরা একটু খোজ করলে দেখবো, বয়স ৩০ হবার আগে মিলে ভাঙ্গানো চাল তারা খেতে পান নি। দিনে ১০-১২ কিলো এমনিতেই হাটা পড়তো সবার।
১৯৯০ সালের আগে গ্রামগুলতে বিদ্যুৎ পৌছায় নি। সবাই ঘুমাতো ৭-৮ টার মধ্যেই। শহরেও রাত ৯টার পর ঘুমিয়ে পড়তো অনেক মানুষ।
তখন অধিকাংশ পরিবারের রান্না হত মূলত দুবেলার জন্য, সকাল আর দুপুর। দুপুরের খাবার পর যা বেচে যেত, তা দিয়ে সাধারনত রাতের খাবার সেরে ফেলা হত, এশার নামাযের পরপর।
সব মিলিয়ে, দিনে ১২ ঘন্টা চলতো ইটিং পিরিয়ড, আর ১২ ঘন্টা ফাস্টিং।
২০০০ সালের পর হিসাবটা বদলে গেল। মানুষ রাত জাগতে শুরু করলো, হাটতে ভুলে গেল।
২০১০ সালের পর আমরা চলে এলাম নতুন বাস্তবতায়, ওয়াইফাই-মোবাইল ডাটার সুবাদে আমরা অনেকেই এখন ঘুমাই রাত ৩টায়, দিনের প্রথম মিল হয় সকাল ৯টায়, শেষ মিল হয় রাত ১টায়।
খেয়াল করবেন, এই যে আনন্যাচারাল লাইফস্টাইল, এটা আপনার দাদার চেয়ে আপনার বাবার বেশি ছিল, তারচেয়ে আপনার ছিল আরো বেশি, আপনার সন্তানের হচ্ছে আরো বেশি।
এবার মিলান।
দেখা যাবে, আপনার দাদার জেনারেশনে ডায়বেটিস ছিল ষাটের পর, বাবার জেনারেশনে পয়তাল্লিশের পর, আপনার জেনারেশনে ৩০ এর পর এবং এখন আমরা পাচ্ছি আমাদের পরের জেনারেশনে ১৫ থেকেই অনেকের ডায়বেটিস।
আমাদের চাল বদলাতে হবে।
রেস্টুরেন্ট-ফুড পান্ডা-উবার ইটস ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
রাত জাগা কমাতে হবে।
অল্প দুরত্বগুলোতে হাটার অভ্যাস করতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত দুদিন লম্বা দুরত্ব হাটতে হবে।
টাইপ টু ডায়বেটিস একটা লাইফস্টাইল ডিজিজ। কিন্তু আমাদের অসচেতনতা এটাকে হয়তো কোন একসময় জিনেটিক ডিজিজে রুপ দেবে।
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT