
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশের বেশির ভাগ অঞ্চল বৃষ্টিহীন ও প্রচণ্ড গরমে জর্জরিত। চলমান মৃদু তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। এর মধ্যেই শুক্রবার সকালে দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা ধীরে ধীরে নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের মূল প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা বেশি ভারতের ওডিশা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে। তবুও এর আংশিক প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অধিদপ্তর। সম্ভাব্য বৃষ্টি শুরু হতে পারে আগামী বুধবার থেকে টানা তিন দিন পর্যন্ত।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক বলেন, “লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হলে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলক কম হতে পারে।”
গত কয়েক দিন ধরেই সারাদেশে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ফেনীতে ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রাঙামাটিতে ৯ মিলিমিটার। দেশের অন্যত্র ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন আবহাওয়া, ফলে গরমের তীব্রতা বেড়েছে আরও।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৩৬–৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮–৩৯.৯ ডিগ্রি হলে মাঝারি, আর ৪০ ডিগ্রির ওপরে হলে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।
আগামী ২৯ অক্টোবরের পর থেকে লঘুচাপের প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এর আগে একবার বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হলেও তা দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বাংলাদেশের উপকূলে তেমন প্রভাব ফেলেনি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন এই লঘুচাপটি যদি নিম্নচাপে পরিণত হয়, তবে তা চলমান গরম প্রশমনে সহায়তা করবে এবং দেশের আবহাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে।