তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশেষ করে সিরিয়ার প্রেক্ষাপটে। বুধবার আঙ্কারায় জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি (একে পার্টি) আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এরদোগান জানান, ‘যখনই আমরা সিরিয়ার আলেপ্পো, দামেস্ক, হামা, হোমস, দারা এবং মানবিজে স্বাধীন সিরিয়ার পতাকা আমাদের জাতীয় পতাকার পাশে উড়তে দেখি, আমাদের আনন্দ হয়।’
সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পিকেকে (PKK) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নির্মূল করব, যারা তুরস্ক ও কুর্দি জনগণের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করছে।’ উল্লেখ্য, পিকেকে মূলত সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় এবং তাদের সশস্ত্র কার্যক্রমে তুরস্কে কয়েক দশকে প্রায় ৪০,০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
তুরস্ক প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও এরদোগান উল্লেখ করেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে নতুন প্রশাসনিক পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের এই উদ্যোগ রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
এরদোগান আরো বলেন, তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে এবং এতে সফল হয়েছে। তিনি দাবি করেন, তুরস্ক কখনোই সামরিক আগ্রাসন বা সহিংসতার পথ বেছে নেয়নি, বরং শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পাওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। সিরিয়া, ইরাক এবং অন্যান্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তাদের কার্যক্রম চলবে এবং তুরস্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এছাড়া, এরদোগান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং সন্ত্রাসবাদের কারণে দেশটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তুরস্কের এই অবস্থান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আরও বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
Leave a Reply