একটি মাত্র ক্যামিও দৃশ্য, যা একসময় ছিল দর্শকদের আনন্দের উৎস, এখন তা পরিণত হয়েছে বিতর্কের কেন্দ্রে। পরিচালক চান মুছে ফেলতে, অভিনেতা তাতে সমর্থন দেন, আর ট্রাম্প বলছেন—তাকে জোর করে নয়, বরং অনুরোধ করেই নেওয়া হয়েছিল!
হলিউডের জনপ্রিয় ছবি ‘হোম অ্যালন ২: লস্ট ইন নিউ ইয়র্ক’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯২ সালে। মজার কাহিনি আর শিশু অভিনেতা ম্যাকাওলে কালকিনের দুর্দান্ত অভিনয়ে সিনেমাটি আজও দর্শকদের মনে জায়গা করে আছে। কিন্তু এত বছর পর এসে সিনেমার একটি সংক্ষিপ্ত দৃশ্য নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন পরিচালক ক্রিস কলম্বাস।
ভিডিও ক্লিপটি দেখতে ভিজিট করুন সাবাস বিডির ফেসবুক পেইজে
এই দৃশ্যে দেখা যায়, কেভিন চরিত্রটি নিউ ইয়র্কে হারিয়ে গিয়ে একটি হোটেলে ঢুকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে দিকনির্দেশনা চাইছে। সেই সময় ট্রাম্প ছিলেন সেই প্লাজা হোটেলের মালিক। আর তিনি তখন সিনেমায় এই ছোট চরিত্রে অভিনয় করার শর্তেই হোটেলে শুটিংয়ের অনুমতি দিয়েছিলেন।
সিনেমায় ট্রাম্পের উপস্থিতি ছিল মাত্র সাত সেকেন্ডের, কিন্তু বর্তমান সময়ে সেটি পরিচালক কলম্বাসের জন্য বিব্রতকর হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সিএনএন-কে তিনি বলেন, “এই দৃশ্যটা এখন একটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি চাই এটি সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হোক। কিন্তু অনেকেই মনে করছে, সেটা করলে হয়তো আমাকে দেশ থেকেই বের করে দেওয়া হবে!”
পরিচালক আরও জানান, প্রথমে তিনি দৃশ্যটি নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। তবে যখন সিনেমার প্রিমিয়ারে দর্শকরা সেই দৃশ্যে খুশি হয়, তখনই তা রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অনেক দর্শকই চান, তাকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হোক। এমনকি অভিনেতা ম্যাকাওলে কালকিনও এই দাবিকে সমর্থন করেন। একবার এক অনলাইন ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে এক ভক্ত মজা করে বলেন, “ট্রাম্পের বদলে ৪০ বছর বয়সী কালকিনকে বসানো হোক।” উত্তরে কালকিন লেখেন, “সোল্ড!”—অর্থাৎ, “আমি রাজি!”
অন্যদিকে, ট্রাম্প ২০২৩ সালে নিজের সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, পরিচালকই তাকে সিনেমায় থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি শুরুতে না করেছিলাম। পরে তারা বারবার অনুরোধ করায় রাজি হই। আর আমার সেই দৃশ্য সিনেমাটিকে জনপ্রিয় করতেও সাহায্য করেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “এখন ৩০ বছর পর কলম্বাস বলছেন, আমি জোর করে ঢুকেছিলাম! এটা একেবারেই মিথ্যা।”