নানা আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আয়োজিত দুদিনব্যাপী জাতীয় কংক্রিট উৎসব-২০২৫। এই উৎসবে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও গবেষণায় উদ্ধুদ্ধ করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন প্রতিযোগীতার। উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, সাস্টসহ প্রায় ৮টি বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। উৎসবের একটি আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল জাতীয় কংক্রিট সল্যিউশন প্রতিযোগিতা, যেখানে বিজয়ী হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম কংক্রিট ক্রাশার। এই ইভেন্টে ২য় ও ৩য় হয়েছে যথাক্রমে বুয়েটের টিম লাইমএক্স কনক্রিট ও কনকর্ডিয়াম। এছাড়াও উক্ত উৎসবে ছিল ট্রাস তৈরি প্রতিযোগিতা, জাতীয় আর্টিকেল রাইটিং প্রতিযোগিতা ও জাতীয় ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। বিভিন্ন বিভাগে এসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্যে এসিআই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার চুয়েটের পক্ষ থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকার নগদ অর্থ পুরষ্কার দেওয়া হয়।
কংক্রিট সল্যুশন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শাবিপ্রবির টিম কংক্রিট ক্রাশারের অন্যতম সদস্য আবু ইয়াহিয়া বলেন, “এটা ছিলো আমার ফার্স্ট কোনো ন্যাশনাল কম্পিটিশন, এর আগে এরকম কোন কম্পিটিশনে আমি পার্টিসিপেট করিনি। তো আমার একটু ভয় লাগছিল, কী করতে হবে ঠিক জানতাম না। পরে কিছু ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। বাকি দুই টিমমেট নায়েফ, রায়হানসহ আমরা স্লাইড তৈরি করলাম। স্লাইড এপ্রুভড হয়ে যখন সেকেন্ড রাউন্ডে গেলাম তখন আসলে এক্সাক্ট একটা কনফিডেন্স পেলাম যে আমরা কিছু একটা করতে পারবো। দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য আমাদের একটা ভিডিও বানাতে হতো চার-পাঁচ মিনিটের, যেই সল্যুশন নিয়ে কাজ করবো তার। আমরা সাড়ে চার মিনিটের একটা ভিডিও বানালাম। টানা সাড়ে বারো ঘন্টা খাটতে হয়েছে জাস্ট ভিডিওর পেছনেই। দেন ভিডিওটাও যখন এপ্রুভ হয়ে গেলো তখন থেকেই আসলে কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেলো। সেমি ফাইনালে আটটি ও ফাইনালে ছয়টি টিমকে হারিয়ে অবশেষে আমরা বিজয়ী হলাম।”
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে পুরকৌশলীদের একটি আন্তর্জাতিক পেশাজীবী সংগঠন আমেরিকান কংক্রিট ইন্সটিটিউট (এসিআই), যার চুয়েট শাখা প্রতিবছরই ব্যতিক্রমধর্মী বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এ নিয়ে চুয়েটে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় কনক্রিট উৎসব আয়োজিত হলো। এই আয়োজনের স্পন্সর হিসেবে পাশে ছিল হোলসিম, কনসোল ও এসিআই লিমিটেড।