জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সর্জিস আলম সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য রাখাল রাহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেন, রাখাল রাহা মহান আল্লাহ ও নবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পরিচয়ে লুটপাটের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
সর্জিস আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেন, “এই তথাকথিত ভন্ড বুদ্ধিজীবী রাখাল রাহা আমার আল্লাহ এবং নবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করেছে আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে লুটপাট করার কথা শোনা যাচ্ছে। সময় শেষ হওয়ার আগে তদন্ত করেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। রাখাল রাহা ইস্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক ছাড় হয়ে গেছে। আর না।”
উল্লেখ্য, এর আগে ১৫০ জন আলেম রাখাল রাহার আল্লাহ ও নবী (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য তার শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন। তারা বলেন, “রাখাল রাহা মহান আল্লাহর শানে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট প্রকাশ করেন… এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত করেছেন, যা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।”
আরও পড়ুনঃ
কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ওবায়দুল কাদের ?
“ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে ক্ষতি হবে না”- বাণিজ্য উপদেষ্টা
এনসিপি নেতা সর্জিস আলম কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধান হয়।
তবে নাগরিক পার্টি রাজনৈতিক দল গঠন করার পর এ পোস্টটি করার পর সমালোচনায় পড়তে হয়েছে তাকে। তার কমেন্ট বক্সে দেরী করে এ অনুভূতি প্রকাশ ধর্মীয় দিকের চাইতে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেয়া বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। খোদাদ্রোহী ও শাতিম এ রাসূল দের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গী জানতে চেয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রকাশ করা হয়নি।
মোহাম্মদ সারওয়ার হোসেন কমেন্ট এর জানান, “এই পোষ্ট আগে দিলে তোমাদের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়ে যেতো। আমরা তোমাদের অনেক রিকুয়েস্ট করেছিলাম রাখাল রাহার ইস্যুতে। দিনশেষে যারা প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে তৌহিদি জনতার তকমা দেয়া হলো। এই রাখাল রাহা শিক্ষক নেটওয়ার্কের পোস্টার বয়, যারা এলজিবিটি ও আদিবাদী অধিকার নিয়ে সোচ্চার। এর মধ্যে অন্যতম ফেইস হচ্ছে প্রফেসর সামিনা লুতফা, প্রফেসর কামরুল হাসান মামুন, প্রফেসর জোবাইদা নাসরিন, প্রফেসর রোবায়েদ ফেরদৌস প্রমুখ।”