নোটিশ:
শিরোনামঃ
সীমান্তে উত্তেজনা: আখাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আহত ভারতের গৃহীত সিদ্ধান্তের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের বেরোবিতে অনুষ্ঠিত হলো গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা আধুনিক কৃষি: টেকসই কৃষি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ সালাতুল ইস্তিসকার আয়োজন করলে চাপ আসত ভারত থেকে যেকোনো মুহূর্তে ভারতের হামলার আশঙ্কা, প্রস্তুত পাকিস্তান দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, বন্ধ জেরুজালেমের পথ মৃত্যুর মুখে শৈশবের শিক্ষা: ‘কালেমা’ পাঠে বাঁচলেন অধ্যাপক ও পরিবার নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইসি, কারো দিকে তাকিয়ে নয়: সিইসি ঐক্যের পথে শীর্ষ ইসলামী দলগুলো

গরু জবাই করে ধানমন্ডি ৩২ এ চলছে ফ্যাসিবাদের চল্লিশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৮ বার দেখা হয়েছে
ফ্যাসিবাদের চল্লিশা,
ফ্যাসিবাদের চল্লিশা নাম দিয়ে ছাত্ররা গরু জবাই করে ভোজ করছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িতে

গরু জবাই করে ধানমন্ডি ৩২ এ ফ্যাসিবাদের চল্লিশা চলছে। ধানমন্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে ফেলার পর তার উদযাপন উপলক্ষ্যে People’s Activist Coalition (PAC) এবং July Revolutionary Alliance (JRA)-এর যৌথ উদ্যোগে আজ ধানমন্ডি ৩২-এ এক সামাজিক জেয়াফতের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উদযাপন দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং স্বৈরাচারবিরোধী চেতনার প্রতীক হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

একজন আয়োজক বলেন, “গরু শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই অংশ নিতে হলে দ্রুত চলে আসুন!

উল্লেখ্য, এই আয়োজনটি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘ সংগ্রামের স্মারক হিসেবে পালন করা হচ্ছে। আয়োজকরা সর্বস্তরের ছাত্র ও জনসাধারণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

ফ্যাসিবাদের চল্লিশা আয়োজনের পেছনের প্রেক্ষাপট

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি একটি প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি, যা গণতান্ত্রিক চেতনা ও রাজনৈতিক ইতিহাসের নানা দিককে তুলে ধরার জন্য আয়োজন করা হয়েছে। এক আয়োজকের ভাষ্য অনুযায়ী, “আমাদের উদ্দেশ্য হলো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনগণের অবস্থানকে শক্তিশালী করা এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা।”

অনুষ্ঠানটিতে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা উপস্থিত হয়। আয়োজকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখানে একটি সামাজিক জেয়াফতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যা প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আয়োজকদের দাবি, এটি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, বরং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের একটি প্রতিচ্ছবি।

সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া

তবে এ আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে মনে করছেন, এ ধরনের কর্মসূচি সামাজিক বিভেদ তৈরি করতে পারে।

একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশের স্বাধীনতা প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে, তবে সেটি যেন সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।”

এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ প্রভাব

অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে এ বিষয়ে মতামত দিচ্ছেন। কিছু নাগরিক এ উদ্যোগকে সমর্থন জানালেও, অনেকে মনে করছেন, এটি রাজনৈতিক উসকানি দিতে পারে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রতীকী প্রতিবাদ নতুন কিছু নয়, তবে এ ধরনের কর্মসূচির ভবিষ্যৎ প্রভাব কেমন হবে, তা সময়ই বলে দেবে।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত আয়োজকদের পক্ষ থেকে কর্মসূচির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

আরো পড়ুনঃ  ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ির নিচে পাঁচতলা ভবনের সন্ধান

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT