
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তাঁর পরিবারের নামে অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সর্বশেষ দুবাইতে একটি রিসোর্ট, খেজুর বাগান এবং দেশে প্রায় সাড়ে তিনশ বিঘা জমির তথ্য সরকারি বৈঠকে উত্থাপিত হয়েছে। এছাড়া রাজধানীতে আরও ২২টি প্লটের খোঁজ মিলেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে বলা হয়, নজরুল মজুমদার পরিবারের নামে থাকা সম্পদের বেশিরভাগই অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, ঋণ জালিয়াতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে। বিদেশে তাঁর সম্পদের খোঁজে ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যে একাধিক প্রপার্টির তথ্য প্রকাশ পায়।
আদালতে দায়ের করা মামলার নথিতেও উল্লেখ আছে, নজরুল ইসলাম মজুমদারের নামে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও শত শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদের মধ্যে বাণিজ্যিক জমি, আবাসিক ফ্ল্যাট, কৃষিজমি ও বিদেশি বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এসব সম্পদের উৎস ও ট্যাক্স ফাইলিং সম্পর্কিত প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত সম্পদের প্রমাণ মিললে জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
অন্যদিকে নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ব্যবসায়ী মহলের একটি অংশ বলছে, এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশের ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক খাতের প্রতি জনগণের আস্থা আরও নড়বড়ে হবে।
সরকারি সংস্থাগুলো বর্তমানে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুত করছে। দ্রুতই আদালতে দাখিলের পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।