নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত উপাসনাস্থলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
বাংলা সাহিত্যের অগ্রদূত মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত বুটেক্স সায়েন্স ক্লাবের নেতৃত্বে তাসমিয়া-পিয়াস শাপলা চত্বর গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১২ জানুয়ারি প্রবীণ আলেম ও রাজনীতিবিদ আল্লামা মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী (রহ.) ইন্তেকাল করেছেন সিচুয়ানে উদ্বোধনের কয়েক মাস পরই ধসে পড়ল হংছি ব্রিজ ২০২৬ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষর, বাংলাদেশ থেকে যাবে ৭৮ হাজার ৫০০ হজযাত্রী জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়: জামায়াত আমির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি মুন্সীবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ‘মুন্সীবাজার ব্লাড সোসাইটি’ শেকৃবিতে ৫৩% শিক্ষকের পিএইচডি নেই, তবুও পদোন্নতি ১৪৪ জনের

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত উপাসনাস্থলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

মাহমুদা নাঈমা, জাককানইবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৫ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) প্রথমবারের মতো বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিত উপাসনাস্থলের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো।নানা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে নবনির্মিত ভবন তিনটি নির্ধারণ করা হয়েছে সনাতন, বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য।

রবিবার (১৯ অক্টোবর ২০২৫) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বপাশে অবস্থিত চারুদ্বীপ এলাকায়, উপাসনাস্থলের নামফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম উনার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জানান, “এই উপাসনাস্থল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বাংলাদেশ হিসেবে কবি নজরুলের দর্শনকে প্রমাণ করতে পারলাম। আমরা যতদিন থাকবো, সকল ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের শুরু থেকেই উপাসনালয়ের দাবি ছিল, বিশেষ করে সনাতন ধর্মের পক্ষ থেকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে অগোছালো অবস্থার কারণে কিছুটা সময় লেগেছে। যাই হোক, বিভিন্ন ধর্মের উপাসনাস্থল উদ্বোধন করতে পেরে আমি কিছুটা হলেও স্বস্তি বোধ করছি। কারণ এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারবেন, যা জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। উপাসনাস্থলটি এখনো অসম্পূর্ণ এবং কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তবে সময় নিয়ে সুন্দরভাবে সব কাজ শেষ করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “উপাসনাস্থল নির্মাণে যারা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

এছাড়াও উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার।

বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুদিন ধরেই ধর্মীয় উপাসনাস্থল নির্মাণের দাবি ছিল। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বল্প সময়ের মধ্যেই উদ্যোগ নিয়ে উপাসনাস্থল নির্মাণ করে সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছে। তাঁরা উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পাশাপাশি, সনাতন ধর্মের পক্ষ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বিপ্লব দাশ, খ্রিষ্টান ধর্মের পক্ষ থেকে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রাবণ চিছা এবং বৌদ্ধ ধর্মের পক্ষ থেকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সুবেশ চাকমা বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য,অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম। উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও দপ্তরের প্রধান, প্রক্টর, প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT