আওয়ামী লীগকে কি আসলেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে? সারা দেশের মানুষ যখন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই আনন্দে বিভোর, এমনকি মিডিয়াগুলোও স্পষ্ট ভাষায় “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে” মর্মে শিরোনাম প্রচার করছে, তখন কিছু জাগ্রত জুলাই জনতার মধ্যে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে আসলেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে নাকি এটি নিতান্তই শব্দের মারপ্যাঁচ।
এই সন্দেহের দোলাচল সৃষ্টি হওয়ার কারণ অন্তর্বর্তী সরকার নিজেই। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে যমুনার সামনে রাত ১১টায় এক ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ‘উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি’ সাংবাদিকদের পড়ে শোনান।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
সরকারের এই ঘোষণার মধ্যে নতুন কিছু দেখছে না সচেতন মহল। যেখানে একই ধরণের সিদ্ধান্ত গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখেই নেওয়া হয়েছিল, সেখানে শাহবাগে উত্তাল আন্দোলনের ফলে নতুন কী অর্জিত হলো তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শব্দের মারপ্যাঁচের অভিযোগ তুলে অনেক আন্দোলনকারী উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে জুলাইয়ের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন এবং এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শাহবাগেই অবস্থান করছেন।
আগামী সোমবার এই বিষয়ে লিখিত গেজেট প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে আসলে কত শতাংশ নিষিদ্ধ করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল জাগ্রত জুলাই জনতার মনে।