নোবেল শান্তি পুরষ্কারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করলো পাকিস্তান - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হাসিনার ফাঁসির রায়ে শেকৃবিতে মিষ্টিমুখ ও আনন্দ মিছিল নষ্ট মোবাইল দান কর্মসূচিতে বেকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ সৌদি আরব বলেছে, “স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র” ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রশিবিরের মিছিল হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রতিক্রিয়া: ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে দাবি হেফাজতে ইসলামের কুবিতে আইইএলটিএস প্রস্তুতি বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত কুবিতে প্রোগ্রামিং ও সমস্যা সমাধান কর্মশালা অনুষ্ঠিত বুটেক্স হলগুলোতে মশার ভয়াবহ উপদ্রব, ডেঙ্গুতে বহু শিক্ষার্থী আক্রান্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘Allama Iqbal’s Theory of Khudi’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নোবেল শান্তি পুরষ্কারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করলো পাকিস্তান

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
  • ২১৭ বার দেখা হয়েছে

পাকিস্তান ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ করেছে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এপ্রিল মাসে সৃষ্ট যুদ্ধ পরিস্থিতি শান্ত করতে ট্রাম্প “নেতৃত্বপূর্ণ ভূমিকা” পালন করেছেন, যার ফলে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো গেছে।

এপ্রিলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনব্যাপী সীমান্তে গোলাগুলি চলে। পাকিস্তান এটিকে ভারতের আগ্রাসন বলে দাবি করে এবং পাল্টা সামরিক অভিযানে নামে। সেই উত্তপ্ত মুহূর্তে ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের সঙ্গে কয়েকদফা বৈঠক করেন।

এরপরেই পরিস্থিতি শান্ত হয়। ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাকিস্তানও এই বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাঁকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে আখ্যা দেয়।

পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাহসী ও কার্যকর নেতৃত্ব দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক অবদান রেখেছে। তাঁর এই ভূমিকাই তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য করে তোলে।”

এই সুপারিশের পেছনে জেনারেল আসিম মুনিরের বড় ভূমিকা ছিল। তিনি সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেন, যেখানে নোবেল মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা হয় বলেও সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।

তবে এই নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। ভারত দাবি করেছে, ট্রাম্পের কোনো মধ্যস্থতা ছিল না—বরং দুই দেশই নিজেদের সামরিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সংঘর্ষ থেকে সরে আসে। আবার অনেক বিশ্লেষক বলছেন, পাকিস্তান এই মনোনয়নের মাধ্যমে ট্রাম্পের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায়, কারণ ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন।

নোবেল কমিটি এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়ন পাওয়া মানেই পুরস্কার নিশ্চিত নয়। মনোনীতদের তালিকা গোপন রাখা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বছরের শেষের দিকে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT