দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় হামাসের হামলায় অন্তত ১৯ জন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, দুটি আলাদা হামলায় এসব সেনা নিহত হয়।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূর্ব রাফাহর আল-তান্নুর পাড়ায় ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ মসজিদের কাছে ইসরাইলি বাহিনীর সাত সদস্যকে শক্তিশালী বিস্ফোরকের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এতে বাহিনীর সব সদস্যই প্রাণ হারান। একই এলাকার আল-ফিদাই জংশনের কাছে একটি ভবনের ভেতরে অভিযানের প্রস্তুতিকালে আরও একটি ইসরাইলি ইউনিটের ওপর অ্যান্টি-পার্সোনেল ও অ্যান্টি-আর্মর গোলা ছোড়া হয়। এতে ইসরাইলি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের ১২ সেনা হতাহত হন।
আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর বহু সেনা হতাহত হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে ইসরাইলি হেলিকপ্টার অবতরণ করতে দেখা গেছে। পূর্ব রাফাহর আল-জেনিনা এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে তাদের তীব্র লড়াই চলছে বলেও দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।
তবে গাজায় হামাস হামলা ঘটনাগুলো নিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, প্রথম হামলায় সাতজন সেনাকে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক দিয়ে হত্যা করা হয়। দ্বিতীয় হামলায়, ইসরাইলি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের ১২ সদস্য নিহত হন যখন তাদের ওপর অ্যান্টি-পার্সোনেল এবং অ্যান্টি-আর্মর গোলা হামলা করা হয়। ঘটনাস্থলে ইসরাইলি হেলিকপ্টারের উপস্থিতি এবং রাফাহর আল-জেনিনা এলাকায় তীব্র লড়াইয়ের পর, হামাস জানিয়েছে যে তারা ইসরাইলি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। তবে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় হামাস হামলা মোট ৮৫৪ জন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৫ হাজার ৮৪৭ জন।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর