নোটিশ:
শিরোনামঃ
সীমান্তে উত্তেজনা: আখাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আহত ভারতের গৃহীত সিদ্ধান্তের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের বেরোবিতে অনুষ্ঠিত হলো গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা আধুনিক কৃষি: টেকসই কৃষি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ সালাতুল ইস্তিসকার আয়োজন করলে চাপ আসত ভারত থেকে যেকোনো মুহূর্তে ভারতের হামলার আশঙ্কা, প্রস্তুত পাকিস্তান দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, বন্ধ জেরুজালেমের পথ মৃত্যুর মুখে শৈশবের শিক্ষা: ‘কালেমা’ পাঠে বাঁচলেন অধ্যাপক ও পরিবার নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইসি, কারো দিকে তাকিয়ে নয়: সিইসি ঐক্যের পথে শীর্ষ ইসলামী দলগুলো

মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৪১ বার দেখা হয়েছে
সরিষাবাড়ী থানা ঘেরাও করে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের মুক্তির দাবি তুলেছেন মাদ্রাসা ছাত্রদের অভিভাবকরা
সরিষাবাড়ী থানা ঘেরাও করে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের মুক্তির দাবি তুলেছেন মাদ্রাসা ছাত্রদের অভিভাবকরা
সম্প্রতি গত ১৫ মার্চ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বজলুর রহমান (৩০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককের বিরুদ্ধে দুই ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে। পরে উত্তেজিত ‘এলাকাবাসী’র তোপের মুখে কোনো লিখিত অভিযোগ ছাড়াই ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ ঘটনাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন এবং সঠিক তদন্তের জন্য সরিষাবাড়ী থানায় এর প্রতিবাদ জানান।
মাদ্রাসা পরিচালক মো: রুহুল আমিন জানান ১০ দিন ধরে ‘ভিক্টিম’ শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় না আসলেও ইফতারের আগ মুহূর্তে অতর্কিতে ১০০-২০০ লোক নিয়ে মাদ্রাসা ঘেরাও করে। তার দাবি, “ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা স্থাপিত রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজ তার কাছে সংরক্ষিত আছে। তিনি এই ফুটেজ ব্যবহার করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অভিভাবকরা অভিযোগের সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে কথিত ভিক্টিম শিক্ষার্থী নেশাগ্রস্ত ও তাকে পূর্বেও একাধিকবার মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল, তাদের কাছে এর পক্ষে প্রমাণস্বরূপ ফুটেজও রয়েছে।
অভিভাবকরা আরও বলেন, “ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন অন্যায়ভাবে শাস্তির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

এদিকে, এলাকার অনেক বাসিন্দাও ঘটনাটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মাদ্রাসার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এই অভিযোগ উত্থাপন করেছে। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ঘটনার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অভিভাবকরা আরো জানান, ঘটনার বিষয়ে সঠিক তদন্ত না হলে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে এবং মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা আরো বলেন, একটি সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে, যাতে নিরপরাধ কাউকে শাস্তি না দেয়া হয়।

আমাদের পথ চলায় সঙ্গী হন আপনিও:

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT