ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ সম্প্রতি লুঙ্গি-গেঞ্জিকে শ্রেণিকক্ষে স্বাভাবিকীকরণের দাবিতে একক প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। এই কর্মসূচি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয়।
আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের প্রচণ্ড গরমে শ্রেণিকক্ষে আরামদায়কভাবে বসা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘেমে পোশাক ভিজে যায়, অস্বস্তি বাড়ে। তার ওপর বিদ্যুৎ ঘাটতির সময় শ্রেণিকক্ষ যেন ফার্নেসে পরিণত হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রেজেন্টেশন বা ভাইভার মতো সময়ে শিক্ষার্থীদের ‘ইংরেজ বাবু’ সাজতে হয়, যা এক ধরনের সাংস্কৃতিক দেউলিয়াত্ব। ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে আমাদের জলবায়ু, সংস্কৃতি এবং জীবনধারা ভিন্ন। সেই অনুযায়ী পোশাকেও ভিন্নতা থাকা উচিত। শার্ট-প্যান্ট বাধ্যতামূলক করার সংস্কৃতি আসলে ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন, যা আমরা আজও বহন করে চলেছি।
নিজের সাংস্কৃতিক অধিকার সামনে রেখে আসিফ বলেন, লুঙ্গি-গেঞ্জি বাঙালির সংস্কৃতির অংশ। যারা প্যান্ট পরতে চায় তারা পরুক, কিন্তু কেউ লুঙ্গি-গেঞ্জি পরতে চাইলে তারও স্বাধীনতা থাকা উচিত। তিনি চান, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে এমন পোশাক পরার অধিকার পাক, যা আমাদের পরিবেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই।
আসিফ মাহমুদের এই কর্মসূচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে তার দাবিকে সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় রক্ষার অংশ হিসেবে দেখছেন।