অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। তিনি ক্লাব গঠনের শুরুর দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, “অভিযান সংঘ আমার স্বপ্ন, যা একদল তরুণকে নিয়ে শুরু করেছিলাম। আজ এই সংগঠন চার দশক অতিক্রম করেছে—এটা সত্যিই গর্বের।”
তিনি বর্তমান তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “মাদক ও সামাজিক অবক্ষয় আমাদের বড় শত্রু। এই অবক্ষয় রোধে সমাজভিত্তিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনেক। অভিযান সংঘের মতো সংগঠনগুলোকে আরও সক্রিয় ও সংগঠিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী জেলা হলেও সম্ভাবনার অভাব নেই। তিস্তা মহাপরিকল্পনা, মোগলহাট পোর্ট, বিমানবন্দরসহ একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই জেলা একটি আধুনিক অঞ্চলে পরিণত হবে।” তিনি জানান, চীনা প্রতিনিধিদল সম্প্রতি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাঁচটি জেলার মধ্যে বিশেষভাবে লালমনিরহাটে সার্ভেও করেছে।এছাড়াও দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারেও আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমিনুল হক, ক্লাবের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু আহাদ খন্দকার লেনিন, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান ওদু, ক্লাবের সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সাবেক খেলোয়াড়রা তাদের ক্রীড়াজীবনের স্মৃতি তুলে ধরে ক্লাবের অগ্রগতির প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্তমান খেলোয়াড়রাও নিজেদের ক্লাবের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে গর্বিত বলে জানান।
প্রধান অতিথি আরও জানান, “আমার সময় দেশের বিভিন্ন জেলা যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা, টাঙ্গাইল সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় সংগ্রহ করা হতো। এবং সে সময়ের জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট কিশোর লীগ জেলায় আয়োজন করা হতো। এই ক্লাবের হয়ে খেলা বিভিন্ন খেলোয়াড়রা আজ শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সুনামের সঙ্গে খেলাধুলা চালিয়ে যাচ্ছে।”
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ক্লাব পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা নিশ্চিত করতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে এ.কে.এম কামরুজ্জামান-কে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে রেজাউল ইসলাম, আমরুল হাসান মোল্লা, আল আমিন মামুনসহ আরও কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, অভিযান সংঘ ১৯৮৪ সালের ৪ জুন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্লাবটি ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।