জুলাইয়ে চালু হচ্ছে বগুড়া বিমানবন্দর, ধাপে ধাপে সচল হবে আরও ৬টি
- আপডেট সময় শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
- ১৬৬ বার দেখা হয়েছে
বগুড়া বিমানবন্দর আগামী জুলাইয়ের মধ্যে চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এরপর ধাপে ধাপে দেশের অন্যান্য পরিত্যক্ত বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
এই তালিকায় রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা ঈশ্বরদী, সম্ভাবনাময় অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, পর্যটনসমৃদ্ধ মৌলভীবাজারের শমসেরনগর, ঐতিহাসিক কুমিল্লা এবং রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর।
দেশের দ্রুত শিল্পায়ন, বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং পর্যটন খাতের বিকাশে পূর্বে চালু থাকলেও বর্তমানে পরিত্যক্ত এই বিমানবন্দরগুলো সচল হলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, এসব বিমানবন্দর পুনরায় চালুর জন্য প্রাথমিক ব্যয় নিরূপণসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের মধ্যে অন্তত তিনটি বিমানবন্দর কার্যক্রম শুরু করবে বেবিচক। এর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি যেসব স্থানে আগে সম্পন্ন হবে, সেসব বিমানবন্দরই আগে চালু করা হবে। সবার আগে বগুড়া বিমানবন্দর চালু হবে এবং জুনেই প্রস্তুতি শেষ হলে সেখান থেকে বিমান চলাচল শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, এসব বিমানবন্দরে পুরোপুরি বাণিজ্যিক বিমান চলাচল শুরু করতে আরও এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে।
পরিত্যক্ত বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়াও ইউএস বাংলা, নভোএয়ার এবং এয়ার এস্টারসহ বিভিন্ন বেসরকারি বিমান সংস্থার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলে দেশে ২৮টি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে রাজধানীসহ ৮টি বিমানবন্দরে বিমান চলাচল রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে কাজ করছে, এবং কক্সবাজারকেও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ রুটে সচল বিমানবন্দর রয়েছে রাজশাহী, যশোর, সৈয়দপুর ও বরিশালে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই বগুড়া, ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুমিল্লা, শমসেরনগর এবং তেজগাঁও বিমানবন্দর পুনরায় চালু করা হবে।
তবে এসব বিমানবন্দর সচল করতে হলে বড় ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন। কারণ, বর্তমানে রানওয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী। যাত্রীবাহী বিমান পরিচালনা করতে হলে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ থেকে ৮ হাজার ফুটে উন্নীত করতে হবে, যেখানে এখনকার অনেকগুলো রানওয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফুটের মধ্যে।
বিশেষ করে ঠাকুরগাঁওসহ অনেক বিমানবন্দরে রানওয়ে দখল হয়ে গেছে, গবাদি পশুর অবাধ বিচরণ দেখা যায়, বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে পড়েছে এবং নিরাপত্তা চৌকি পর্যন্ত অনুপস্থিত। এসব বিমানবন্দর পুনর্গঠনে কোথাও কোথাও নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হতে পারে।
আরও পড়ুন
https://dailysabasbd.com/berobi-teachers-exam-row/
🔹 দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ-এর সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
🔹 আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করুন: dailysabasbd
