যশোরের শার্শা উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রীদের বেডরুমে সিসি ক্যামেরা এবং শিক্ষকের কক্ষ থেকে একটি মনিটর জব্দ করেছে পুলিশ। অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুজন শিক্ষক থাকেন, আর ওপরের চারতলায় আবাসিক ছাত্রীদের পাঠদান ও আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। ছাত্রীদের ঘুমানোর কক্ষে নাইট ভিশন সুবিধাসম্পন্ন দুটি করে ক্যামেরা বসানো ছিল, যার ফুটেজ মনিটরের মাধ্যমে এক শিক্ষকের কক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হতো। অভিযানে নারী পুলিশ সদস্যরা এসব যন্ত্রপাতি জব্দ করে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দায় কেউ এড়িয়ে যেতে পারেন না। ইতোমধ্যে এক মাসের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, যা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ
জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ:এনসিপি সদস্য বহিষ্কৃত
বকশীগঞ্জ ইউএনওসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা
অভিযোগ পেয়ে যশোরের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় শিক্ষক আবু তাহের (৪৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে শর্তসাপেক্ষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মাদ্রাসায় আসলে কতজন ছাত্রী রয়েছে, তার সঠিক হিসাব দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে অন্তত ৪০ জন ছাত্রীর নাম পাওয়া গেছে, যদিও ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা ১০০ থেকে ১৫০ জনের মধ্যে হতে পারে।
মহিলা মাদ্রাসায় ছাত্রীদের বেডরুমে সিসি ক্যামেরা পাওয়ার এ ঘটনায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আমাদের পথ চলায় সঙ্গী হন আপনিও: