জিয়াউলের অবৈধ সম্পদে সেনা কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা, ফাঁস করলেন জুলকারনাইন - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী সাবেক সেনাকর্মকর্তার জবানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রকৃত চিত্র কাতার–সৌদি মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ‘আপাতত স্থগিত’ করল আফগানিস্তান পাকিস্তান আবারও আফগান সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আফগান বাহিনী জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বালিয়াকান্দিতে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক কুবির তিন শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি মডেল ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সে পুরস্কার জয়ী রাজবাড়ীর কালুখালীর গুণী সংগীতশিল্পী জাহিদ হাসানের মৃত্যু

জিয়াউলের অবৈধ সম্পদে সেনা কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা, ফাঁস করলেন জুলকারনাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ১২১ বার দেখা হয়েছে

সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আজাদের বিরুদ্ধে জিয়াউল আহসানের অবৈধ সম্পদ রক্ষার অভিযোগ, তদন্ত দাবি অনলাইন এক্টিভিস্ট জুলকারনাই সায়ের

সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) মোঃ আসাদুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন অনলাইন এক্টিভিস্ট জুলকারনাইন সায়ের। তিনি দাবি করেছেন, কুখ্যাত মেজর জেনারেল (অবঃ) জিয়াউল আহসানের শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের রক্ষক ও বিনিয়োগ অংশীদার ছিলেন এই কর্নেল আজাদ। এছাড়াও, তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কর্নেল আজাদ এর ফেসবুক প্রোফাইল এবং পোস্টেও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হবার পোস্ট ও ছবি দেখা যাচ্ছে।

জুলকারনাইন তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, কর্নেল আজাদ ও জিয়াউল আহসানের স্ত্রীর নামে স্বাক্ষরিত কোটি কোটি টাকার চেক ও কমপক্ষে দুই-তিন কেজি ওজনের দলিলপত্র তার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই সমস্ত প্রামাণ্য কাগজ ইতোমধ্যে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ তদন্ত সেল গঠন করে অনুসন্ধান করা জরুরি।

পোস্টে আরও বলা হয়, কর্নেল আজাদ হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং দীর্ঘদিন যাবৎ জিয়াউল আহসানের কালো টাকা দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থাবর সম্পদে বিনিয়োগ করেছেন।  এছাড়া, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি দুইটি ভিন্ন প্রোফাইলের মাধ্যমে নিজেকে বিএনপির সক্রিয় নেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।এ সংশ্লিষ্ট ছবিও তিনি পোস্টে উল্লেখ করেছেন।

May be an image of 15 people, dais and text that says 'উদ্দন মোল্লাহ ভাইকে തലഘන 고 নाয় PaRcta ভোটি स বৈঠক ী প্রক 田 লেঃকর্নেল (অব:) মোঃ আসাদুল পরকান(ে)লালইাা ইস্গলাম ইসলাম(আজাদ) (আজাদ) পি.এস.সিসাহেব সিসাহেব এর নির্বাচনী মতবিনিময় সভা श্ाम: লেওজাতেলা, মধুলূর, ভালাই তাदিক: জুলাই ২০২৫ রোজ কুহস্পতিস্ন বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী জুলাহ-আগাস্ড গনপত্যুধান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ৫ই আগস্ট কেন্দ্র ঘোষিত বিজয় মিছিল যোগ দিন, সফল করুন সময়: ৫ই আগস্ট, মঙ্গলবার, সকাল ঘটিকা স্থানঃ কেন্দ্রীয় কার্ষালয়, কর্নেল আজাদ সমর্থক শোঠী মধুদুর অফিস) বাংলাদেশ জতীয়াাবাদী দল'

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তজুল ইসলাম এর আগে জানান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান হাজারের বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে একটি তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহানের নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে, যার পরিমাণ ৪০ কোটির বেশি।

তবে কর্নেল আজাদ এই অভিযোগ সম্পর্কে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি। বিএনপির পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য আসেনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যেখানে রাষ্ট্রীয় তদন্ত সংস্থা একজন অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সক্রিয় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ভূমিকাও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা জরুরি। বিশেষ করে যদি অভিযোগকারীর হাতে উল্লেখিত দলিল সত্য হয়, তবে সেটি মামলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

সুশাসনের দাবিতে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন বলছে, এ ধরনের অভিযোগ শুধুই সামাজিক মাধ্যমে সীমাবদ্ধ না রেখে দ্রুত আইনগত প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা উচিত, যাতে দায়ী ব্যক্তিরা বিচারের বাইরে না থাকে।

সরকারি মহলের পক্ষ থেকে এখনও কর্নেল আজাদের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্তের ঘোষণা পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সাধারণ মানুষের আগ্রহ এবং উদ্বেগ দুটোই বাড়ছে। সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT