নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশ একবার স্টার্ট ওভার করার সুযোগ পেয়েছিল। এখন এবার এসেছে। নব্বইয়ের দশকে যে নতুন বন্দোবস্ত হয়েছিল তাতে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে যায়। এবার আওয়ামী লীগ মাইনাস হয়ে গেলো। কিন্তু সেনাবাহিনী যেহেতু দেশে রয়ে গিয়েছিল এবং একটা শক্তি, সেহেতু তারা ২০০৭ সালে আবার ব্যাক করেছিল। কিন্তু তারপরও পর্দার আড়ালে, ভারত, পশ্চিমা দেশগুলো ও আওয়ামী লীগের শক্ত সমর্থন নিয়ে আসতে হয়েছিল; নিজেরা পারেনি। সেই তুলনায় এবার আওয়ামী লীগের কিছুই নাই, কিছু ওয়েলদি ব্যাকার ছাড়া।
কিন্তু তারপরও নব্বইয়ের দশকে রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে গিয়েও আর্মির পক্ষে কীভাবে ব্যাক করা সম্ভব হলো ১৭ বছর পর? কারণ নব্বইয়ের বাই-পার্টিজানশিপ ভিত্তিক যে বন্দোবস্ত হয়েছিল, সেটা ভেঙ্গে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থা এতটাই তিক্ত হয়ে গিয়েছিল যে আর্মি ওপেনিং পেয়ে যায়।
এর বাইরে আরেকটা কারণ ছিল: বিএনপির ঘাড়ে চেপে আর্মি শক্তি সঞ্চয় করেছিল। র্যাব এটার একটা বড় উদাহরণ। বিএনপি কথায় কথায় আর্মিকে নিয়ে আসতো। তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করতো না। বিএনপি আসলেই বিশ্বাস করতো যে আর্মি হলো দেশের স্বার্বভৌমত্বের শক্তি। সুতরাং, তাকে কিছু বলা যাবে না। তাকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। তারা যেন মর্ত্যের কেউ নয়, স্বর্গের দেবতা।
অপরদিকে আপনি হাসিনাকে আর যা-ই বলেন না কেন, হাসিনা সেনাবাহিনীকে মন থেকে ঘৃণা করতেন। এমনকি তার শেষ আমলে আর্মির সঙ্গে তার যে হৃদ্যতা, সেটা প্রশ্নহীন ছিল না। সেটা ছিল ট্র্যাঞ্জ্যকশনাল। এবং এই হৃদ্যতার মধ্যেও হাসিনা একটা কাজ করেছেন, সেটা হলো তিনি আর্মির মোরাল ফাইবার একেবারে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছেন। আর্মি অফিসারদের দিয়ে খুন করিয়ে, গুম করিয়ে, রাজনীতিতে ব্যবহার করে, লাগামহীন দুর্নীতি করিয়ে আর রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার দিয়ে তিনি আর্মির মধ্যে যে ইনস্টিটিউশনাল প্রাইড ছিল, সেটা একেবারে ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছেন। আপনারা যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেন কীভাবে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা একে অপরের মুণ্ডু নিপাত করছেন, এটা সরাসরি হাসিনার পলিসির ন্যাচারাল কনসিকোয়েন্স। অর্থাৎ আর্মির সঙ্গে তার মাখামাখি সম্পর্ক জেনুইন ছিল না। তাদের পিক পার্টনারশিপেও হাসিনা আর্মির পারসিইভড ইন্টেগ্রিটি ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুনঃ
লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ
“ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে ক্ষতি হবে না”- বাণিজ্য উপদেষ্টা
কিন্তু ১৯৯৬-২০০১ সালে হাসিনা আর আর্মির মধ্যে ওই টাকা-পয়সার সম্পর্কটাও ছিল না। হাসিনা তখন সত্যি সত্যিই আর্মির বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তি আর্মিকে ভয়ঙ্কর নাখোশ করেছিল। এর কিছুটা ছিল অবশ্যই যে তিনি সেনা স্বার্থে হাত দিয়েছেন। আর দ্বিতীয় কারণ ছিল হাসিনার অতি-ভারত প্রীতি ও নির্ভরতা, ইত্যাদি, যার দরুন আর্মি তাকে বাই-ডিফল্ট সন্দেহ করতো। বিপরীতে জিয়ার দল বিএনপিকে আর্মি ন্যাচারাল অ্যালাই হিসেবে নিয়েছিল; বিএনপিও আর্মিকে সেভাবেই দেখতো। এই সমীকরণ ভেস্তে গেল ২০০৭ সালে। কারণ বাই দেন, আর্মি বিএনপিকে ভাবতে শুরু করলো প্রচণ্ড দুর্নীতিগ্রস্ত, অপদার্থের দল: মানুষের ত্রাণের ঢেউটিন পর্যন্ত চুরি করে, এমন নিচু সারির দুর্নীতিবাজদের দল। আর্মিকে সব অ্যাকাউন্টেবিলিটি থেকে ইনস্যুলেট রেখে বিএনপি তাদের মধ্যে ইনস্টিটিউশনাল প্রাইড গ্রো করতে দিয়েছিল, “স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী” হিসেবে আর্মির মধ্যে এক ধরণের নাক উঁচু মনোভাব তৈরি করে দিয়েছিল। সেই নাক উঁচু মনোভাব থেকেই বিএনপিকে ক্ষ্যাত একটা দল হিসেবে দেখতো মঈন বা অন্যান্য জেনারেলরা। আওয়ামী লীগ সেখানে তাদের কাছে ছিল অনেক আধুনিক একটা দল।
২০০৭ সালের গেঞ্জামের আগ পর্যন্ত আর্মিকে ব্যক-আপ দিয়ে গেছে বিএনপি। জামায়াত আর এরশাদের সঙ্গে সমঝোতার দিকেও কিন্তু গেছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ আগে যায় নাই (ভুল হলে ঠিক করায়ে দিয়েন।)।
অর্থাৎ, দল হিসেবে বিএনপি আদর্শিক অনেক জায়গা থেকে ফ্লেক্সিবল। দলটার ডিজাইনই হলো এমন। আওয়ামী লীগ সেটা ছিল না। এই কারণে বাংলাদেশে বাম বা সেক্যুলার অ্যাডজেসেন্ট দলগুলোর ন্যাচারাল বাপ হলো আওয়ামী লীগ। কিন্তু ডান দল বা গোষ্ঠীগুলোর বাপ বিএনপি না; বড়জোর বড় ভাই বা আদরের ভাতিজা। কিন্তু সেই আলাপ আরেকদিনের জন্য তোলা থাক।
কথা হলো, বিএনপির এই ফ্লেক্সিবিলিটি — এইটার কারণে বিএনপিকে বাগে আনা যায় দ্রুতই। সে কোয়ালিশন বিল্ড করতে ওস্তাদ ও আগ্রহী। সমঝোতা, সবাইকে সাথে রাখতে সে আগ্রহী। দেখেন নাই, তারেক রহমান কীভাবে অনুনয় করছিলেন জেনারেল ইব্রাহিমকে? তাহলে প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সে তাহলে কেন ফ্লেক্সিবল হইতে পারল না? এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে লুকিয়ে আছে কেন নব্বই-পরবর্তী বন্দোবস্ত কাজ করে নাই। কেন আর্মি ১৭ বছর পর ফের রিটার্ন করলো। কেন একই সমস্যা জিইয়ে থাকলে ১৭ বছর পর আওয়ামী লীগও এই দেশে ফিরতে পারে।
আমার মনে হয় নব্বই-পরবর্তী বন্দোবস্ত ফেইল করার একটা বড় কারণ হলো ব্যক্তিগত আক্রমণ ও রেটরিক। হাসিনা ও খালেদার মধ্যে ব্যক্তিগত রেষারেষি, আক্রমণ এতো তিক্ত, বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল যে তারা একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড় দিতে প্রস্তুত ছিলেন না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্য অনেক নেতা সমঝোতায় আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু যদিও দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বেশি রিজিড আর বিএনপি বেশ ফ্লেক্সিবল, ব্যক্তি হিসেবে খালেদার একরোখা বা আপোসহীনতা ছিল হাসিনাকে রাইভাল করার মতো। দ্বিতীয়ত, তাদের মধ্যে আলাপ করাতে পারে এমন মুরব্বিদের অভাব। এটাতে আমি হাসিনাকে দোষ দিবো একশতে একশ। খালেদা দলের বাইরের মুরব্বিদের সম্মান করতেন। হাসিনা ১৯৯১ সালের ফেয়ার নির্বাচনে হারার পর কামাল হোসেনকে অপমান করে বের করেছেন; ফলে কামাল হোসেনের সঙ্গে ওভাবে আর সম্পর্ক ঠিক হয় নাই। প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দীনের সঙ্গেও তার সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল। ব্যারিস্টার রফিকুল হক শেষ দিকে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। রেহমান সোবহানকে পর্যন্ত এক পর্যায়ে চুপ থাকতে হয়েছিল। আর ইউনূসের ঘটনা তো আর বলার কিছু নাই। ব্র্যাকের ফজলে আবেদকে পর্যন্ত হুমকি দেয়া হয়েছিল যেন সে বেশি কথা না বলে। একমাত্র আনিসুজ্জামানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ঠিকঠাক, কিন্তু তার সঙ্গে আবার খালেদার সম্পর্ক ছিল না। (দলের ভেতরে খালেদা মুরব্বিদের সঙ্গে কতটা ভালো সম্পর্ক রাখতেন, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে, অবশ্য। হাসিনা তার দলের ভেতরে নিজের প্রবীণ শত্রুদের নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন; খালেদা দল থেকে বের করে দিয়েছিলেন।)
তিন নম্বর কারণ হলো নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তারক্তি। এই কারণে দেখেন যে খালেদার অনুপস্থিতিতে বিএনপির নেতৃত্ব অনেক বেশি ফ্লেক্সিবল। কিন্তু মাঠের নেতা-কর্মীরা এখন ভয়ংকর রকম একরোখা। গেল ১৭ বছর বিএনপি সারভাইব করতে গিয়ে আদর্শিক হয়েছে। ক্ষোভ জন্মেছে, ঘৃণা জন্মেছে। এমনকি বিএনপির নেতৃত্ব যদি আওয়ামী লীগের ব্যাপারে ফ্লেক্সিবল হয়, কর্মীরা হবে না। পিটিয়ে গায়ের ছাল রাখবে না লোকাল ছাত্রলীগ, যুবলীগ আর আওয়ামী লীগের লোকজনের। ফলে বিএনপির পক্ষে আগের মতো এরশাদের জাতীয় পার্টি বা আর্মির মতো আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া সম্ভব হবে না সহজে। কিন্তু আমার আশঙ্কা হলো, বিএনপি কর্মীদের গত ১৭ বছরের আওয়ামী-করণ কিংবা আদর্শিক বা রাজনৈতিকভাবে রিজিড হয়ে উঠা এনসিপির সঙ্গে সংঘাত অনিবার্য করে দেবে।
আবার এনসিপির যে কিছু করণীয় নাই, তা না। তারা ধোয়া তুলসিপাতা না। যেমন, তাদের প্রত্যাশা হলো বিরোধী দলে গিয়ে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা। এটা একটা বিপজ্জনক কৌশল।
বিএনপি সোস্যাল উন্নয়ন ভালো করে (শিক্ষা, পাবলিক হেলথ, ইত্যাদি)। কিন্তু বিএনপির লোকজন পাবলিক রিলেশনস আর কমিউনিকেশন্স-এ খুবই কাঁচা। তার “ক্ষ্যাত” ভাবমূর্তি পুরোপুরি কাটে নাই। এমনকি শিবিরের মতো সংগঠন তাকে নিয়ে মজা নেয়; আরবান জেন-জি তো আরো নেবে। মিডিয়াতে এখনো বিএনপি নিয়ে হরদম হাসিঠাট্টা হয়। আরেকটা জিনিস খেয়াল কইরেন, যেসব নেতারা বিএনপি থেকে বের হয়ে যায়, তারা খালেদা, তারেক বা জিয়া পরিবার নিয়ে ব্যক্তিগত ইনসাল্ট করে; আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে যাওয়ারা সেটা করে নাই। ফলে বিএনপি রেস্পেক্ট কম্যান্ড করতে পারে না — এই ধরণের একটা নোশন বেশ জোরালোভাবে প্রচলিত আছে।
এসব কারণে এনসিপি জানে সে বিরোধী দলে গিয়ে মাঠ গরম রাখতে পারবে। সে তার ন্যারেটিভ বিল্ড করার ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু এখন রাজপথের লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেকে বোধ করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রক্তারক্তির দিকে গেলে দিনশেষে সেটা এই বন্দোবস্তকেও অকার্যকর করে দেবে। ঠিক যেমন আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ
‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা অবশ্যই চীনে ব্যর্থ হবে’: দাবি ‘ নে ঝা ২ ‘ ভক্তদের
রমজানের আগেই নির্বাচন চাই—মার্কিন দূতাবাসে জামায়াতের স্পষ্ট বার্তা
পরবর্তী রাজনীতিতে স্ট্রিট ফাইট, ভায়োলেন্স, লাশের রাজনীতি বা এমনকি সম্ভব হলে ক্রাউড টেনে শক্তি প্রদর্শনের রাজনীতিকে অপাংক্তেয় করে ফেলতে হবে। রাজনীতি হতে হবে এজেন্ডা-ভিত্তিক। পাবলিক চাপের রাজনীতি। মিডিয়ার রাজনীতি। সেজন্য ইম্পার্শিয়াল ইনস্টিটিউশন দরকার যারা নির্বাচন ফেয়ার করবে আর বড় ধরণের অন্যায় ঠেকাবে। আপনি যখন ব্যাটল অব আইডিয়াজে হেরে যাবেন, আপনি নির্বাচনেও হেরে যাবেন — এটাই হতে হবে রাজনীতি। নির্বাচন হারলে আপনি জেলে যাবেন বা গুম হবেন বা খোদ আপনার বা আপনার নেতাকর্মীদের জান নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যাবে, আবার এটাও হতে দেয়া যাবে না।
এখন বিএনপি আর এনসিপির মধ্যে সেতুবন্ধন করাতে পারবেন, এমন মুরব্বী অনেক। ফলে দ্যাট’স অ্যা গুড সাইন। বিএনপি ও এনসিপির শীর্ষ নেতারা এখনো রেসপেক্টফুল একে অপরের প্রতি। সমালোচনাও বেশ রেসপেক্টফুল। কিছু খুচরা খোঁচা আছে, কিন্তু এখনো বেশি ইনফ্ল্যামাটরি না। এগুলো যদি ভেঙ্গে যায়, আর রাজপথে হানাহানির রাজনীতি শুরু হয়ে যায়, তাহলে সবাই ভুগবেন। কোনো সংস্কারও আর কাজ করবে না।
তাই বলে আন্দোলন হবে না? হবে। কিন্তু আন্দোলন ম্যানুফ্যাকচার করার দরকার নাই: নিরাপদ সড়ক, ভ্যাট বা কোটা বিরোধী আন্দোলনের মতো বোনা ফাইড আন্দোলন আসবেই। বিএনপি ওই ধরণের আন্দোলন ক্লিনলি ট্যাকেল দিতে পারবে না। আন্দোলনের অভাব হবে না। বিএনপির ভুলেরও অভাব হবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে হরতাল, বড় বড় আক্রমণাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচি দিলে দলের নেতাদের আর কর্মীদের মধ্যে রক্তারক্তি আর বিদ্বেষ তৈরি হবেই।
এবার নির্বাচন হলে এনসিপি বা জামায়াত যদি অন্যতম বিরোধী দলও হয়, তাদের প্রথম করণীয় হবে, নির্বাচনের ফল মেনে নেয়া। পরেরবার জনগণের রায়ে ক্ষমতায় আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করা। “সূক্ষ্ম কারচুপি”র অভিযোগ থেকে বের হয়ে আসা। নির্বাচন কমিশন আর বিচার বিভাগকে গড়ে উঠতে দিতে সাহায্য করা। রাজপথের আন্দোলনের কথা একান্তই বাধ্য না হলে চিন্তা না করা। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা মানববন্ধন বা অন্যান্য নন-কনফ্র্যানট্যশনাল কর্মসূচি দেয়া। এভাবেই এগুলো আস্তে আস্তে ঠিক হবে।
লেখক: নাজমুল আহাসান (সাংবাদিক, ব্লুমবার্গ)