
রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম (শহিদ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এই আসনে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় জামায়াত ও সমমনা আটটি দলের সঙ্গে এনসিপির জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। সাইফুল ইসলাম কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি এবং এনসিপি প্রার্থী হাসনাত আবদুল্লাহর নিজ এলাকা দেবীদ্বারেই এই আসনটি অবস্থিত।
রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে সাইফুল ইসলাম লেখেন, “কেন্দ্রীয় সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে আড়াল করে নিলাম। আল্লাহ যেন দ্বীন কায়েমের পথে আমৃত্যু টিকে থাকার তৌফিক দান করেন।”
তিনি আরও বলেন, সংগঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও দেবীদ্বারের মানুষের পাশে থাকবেন।
একইদিন রাজধানীর ঢাকা-১১ (রামপুরা–বাড্ডা–ভাটারা–হাতিরঝিল আংশিক) আসনেও অনুরূপ সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসে। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়ে জোটের একক প্রার্থী হিসেবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানান।
দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে আতিকুর রহমান এই সিদ্ধান্তকে ‘বড় জিম্মাদারি থেকে মুক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, গত প্রায় ১০ মাস ধরে এই আসনে ব্যাপক জনমত গঠনের কাজ চালিয়ে আসলেও বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার মানুষের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা ও সমর্থন তিনি আজীবন মনে রাখবেন। পাশাপাশি, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া সহযাত্রী ও নারী কর্মীদের ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের মতে, জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটে এনসিপি ও এলডিপির অন্তর্ভুক্তির ফলে আসনভিত্তিক সমঝোতা দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। কুমিল্লা-৪ ও ঢাকা-১১ আসনে জামায়াত প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানো এই জোটগত কৌশলেরই অংশ, যা নির্বাচনী সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।