ব্রিটেনের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন। সোমবার (২৩ জুন) ড. ইউনূস ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর পাঠানো এক উকিল নোটিশে তিনি এই অভিযোগ করেন।
নোটিশে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন যে, ড. ইউনূস ও দুদকের উদ্দেশ্য হলো তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করা এবং ব্রিটেনের রাজনীতিতে, বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকা, তার রাজনৈতিক দল ও দেশসেবার কাজে বিঘ্ন ঘটানো, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ব্রিটেনভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড এলএলপি-এর মাধ্যমে পাঠানো এই নোটিশে আগের চিঠির জবাব না পাওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনাও করা হয়। স্টেফেনসন হারউড নোটিশে উল্লেখ করেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিক একটি পরিকল্পিত প্রচারণার শিকার হয়েছেন, যার পেছনে প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের হাত রয়েছে। তাদের পূর্ববর্তী চিঠিতে টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগ যে অসত্য, তা স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয় যে, ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক লন্ডন সফরের সময় টিউলিপ তার সাথে সাক্ষাৎ করে দুদকের অভিযোগ বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। বিবিসি রেডিওর এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূসের কাছে দুটি সুনির্দিষ্ট বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে তিনি হতাশ কিনা, এবং কেন তিনি টিউলিপের সাথে সাক্ষাৎ করেননি। এ বিষয়ে ড. ইউনূস আশ্চর্যজনকভাবে বলেছিলেন যে এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া এবং তিনি তাতে হস্তক্ষেপ করতে চান না।
টিউলিপ সিদ্দিক নোটিশে বলেন, নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগে প্রধান উপদেষ্টার সঠিকভাবে তথ্য যাচাই করা উচিত ছিল। এছাড়াও, দুদকের তদন্ত চলাকালে টিউলিপকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা সমীচীন নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নোটিশে টিউলিপ সিদ্দিক প্রধান উপদেষ্টা ও দুদককে তাদের এই মিথ্যা প্রচারণা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, যদি ৩০ জুনের মধ্যে এই চিঠি এবং পূর্ববর্তী চিঠিগুলোর যথাযথ জবাব না দেওয়া হয়, তবে টিউলিপ সিদ্দিক ধরে নেবেন যে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে।