
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা ও খুরুজের জোড়সহ সব ধরনের ধর্মীয় জমায়েত স্থগিত করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে আপাতত কোনো সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাবলিগ জামাত। এরই মধ্যে ইজতেমা মাঠে নির্মিত প্যান্ডেল খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম)-এর মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচনের আগে টঙ্গীর তুরাগ তীরে খুরুজের জোড়সহ কোনো ধরনের সমাবেশ বা বড় আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-৬ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, “আমাদের মুরুব্বিরা সবসময় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সরকারি নির্দেশনার কারণে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে কোনো ধরনের জমায়েত হচ্ছে না।”
তিনি আরও জানান, আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খুরুজের জোড়ে যারা অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন—বিশেষ করে যারা চিল্লা ও তিন চিল্লার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার কথা ছিল—তাদের নিজ নিজ জেলা ও এলাকা থেকেই আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া যারা পাঁচ দিনের জোর থেকে চিল্লার উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, তাদেরও আপাতত টঙ্গী ইজতেমা মাঠে না এসে নিজ নিজ এলাকার ওয়াক্ত পূর্ণ করে পরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তাবলিগ জামাতের এই মিডিয়া সমন্বয়ক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচনের আগে ইজতেমা ময়দানে কোনো ধরনের সমাবেশ বা বড় আয়োজন করা যাবে না। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিরা মাঠে জমায়েত না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে নির্দেশনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টঙ্গী ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।