ফিলিস্তিনিরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা নিয়ে পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকাকে রিসোর্টে রূপান্তরের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বলছেন, তারা কখনোই তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে যাবেন না।
গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পের পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা দখল করে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করা হবে। স্থানীয়রা জানান, তারা তাদের বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষে থেকেও কখনো গাজা ত্যাগ করবেন না। ট্রাম্প সেই এলাকাকে মধ্যপ্রাচ্যের ‘রিভিয়েরা’তে পরিণত করতে চান।
গাজা সিটির বাসিন্দা সামির আবু বাসেল চ্যাট অ্যাপে বলেন, “ট্রাম্প তার ধারণা, অর্থ এবং বিশ্বাসসহ নরকে যেতে পারে। আমরা কোথাও যাচ্ছি না। আমরা তার কোনো সম্পত্তি নই।”
তিনি আরও বলেন, “এই সংকট সমাধান করতে হলে তাকে ইসরাইলিদের নিয়ে আমেরিকার কোনো রাজ্যে পুনর্বাসন করতে হবে। ফিলিস্তিনিরা নয়, ইসরাইলিরাই এখানে অনুপ্রবেশকারী। আমরা এই জমির প্রকৃত মালিক।”
ট্রাম্পের পরিকল্পনার আওতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি রিসোর্ট নির্মাণের কথা বলা হয়েছিল। গাজার উপকূলীয় অঞ্চল দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত হয় এবং ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৪৭,০০০ এরও বেশি লোক নিহত হন।
গাজার বাসিন্দারা জানান, যুদ্ধ এবং বোমা তাদের গাজা থেকে উৎখাত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ট্রাম্পও এতে সফল হবেন না।
আবু বাসেল বলেন, “তিনি অত্যন্ত ঔদ্ধত্যের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের পরীক্ষা করুন, খুব শিগগিরই তিনি বুঝবেন তার কল্পনা আমাদের সঙ্গে কাজ করবে না।”
ইসরাইলি যুদ্ধ চলাকালীন ফিলিস্তিনিরা আবার একটি ‘নাকবা’ (বিপর্যয়) বা গৃহহীনতার ভয় পাচ্ছিলেন। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় ফিলিস্তিনিদের এমন বিপর্যয়ের শিকার হতে হয়েছিল।
ফিলিস্তিনি দলগুলোর ঐক্য
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক শক্তি এবং ফিলিস্তিনি নেতাদের দ্বারা নিন্দিত হয়েছে।
মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং হামাস এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ভূমি দখল এবং ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করার কোনও পরিকল্পনা তারা মেনে নেবেন না।
ফিলিস্তিনি জনগণ ঘোষণা দিয়েছেন, “আমরা আমাদের ভূমি, অধিকার এবং পবিত্র স্থান কখনোই ছেড়ে দেব না। গাজা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
Leave a Reply