ভাইরাল হওয়ার পর হুমকিতে মিজানের ‘ফুটপাতের বুফে’ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
চবি ও বাকৃবিতে সন্ত্রাসী হামলায় প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ  ডাকসু নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠক, গুজবের জবাব মিলল আলোচনায় অন্যরকম পাঠশালার প্রাক্তন গণিত শিক্ষক আশিকুজ্জামান রাসেল এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রফেসর চ্যাটজিপিটি পরামর্শে বিরল রোগে আক্রান্ত মার্কিন নাগরিক, সতর্ক করল মেডিকেল জার্নাল আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, আহত আড়াই হাজারের বেশি ইন্দোনেশিয়ায় শিক্ষার্থী ও নাগরিক সংগঠনের বিক্ষোভ স্থগিত, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার জাককানইবি কেসস্প্রিন্ট ২০২৫ এর গ্র্যান্ড ফিনালে:বিজয়ী দল ‘ব্যাকসিট ড্রাইভার্স’ আমরণ অনশনের মুখে নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাংলায় কথা বলার অপরাধে কলকাতায় এক হিন্দু যুবককে তিরস্কার

ভাইরাল হওয়ার পর হুমকিতে মিজানের ‘ফুটপাতের বুফে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৭৩ বার দেখা হয়েছে

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে আলোচনায় আসা ঢাকার আগারগাঁওয়ের ফুটপাথের জনপ্রিয় খাবারের দোকান ‘ফুটপাতের বুফে’ এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে। বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে, ইউটিউবারদের ভিড়ে রান্নার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে, আর স্থানীয় প্রশাসনের উচ্ছেদ চেষ্টায় মানবিক এই উদ্যোগ হুমকির মুখে পড়েছে।

প্রায় এক বছর আগে মাত্র তিন কেজি চাল দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন মিজানুর রহমান। বর্তমানে তিনি প্রতিদিন ৩৬ থেকে ৪১ কেজি চাল ব্যবহার করে প্রায় ৪০০ মানুষকে খাবার সরবরাহ করেন। কর্মী না থাকায় নিজেই রান্না, পরিবেশন ও দোকান সামলান তিনি। গ্রাহকরা নিজেদের মতো খাবার নিয়ে খেয়ে প্লাস্টিকের ডিব্বায় টাকা রেখে যান—কেউ পুরো টাকা দেন, কেউ দেন না, তবুও চলছিল দোকান।

তবে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। আগে যেখানে দিনে ১২০০ টাকার বেশি বিক্রি হতো, এখন তা নেমে এসেছে ৫০০–৬০০ টাকায়। মিজানের অভিযোগ, একদল ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর সারাদিন ভিডিও করতে এসে রান্নার সময় নষ্ট করছেন, ফলে খাবার ঠিকমতো প্রস্তুত করা যাচ্ছে না।

সম্প্রতি দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে দোকান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। মিজানের দাবি, এটি একজন বিমান বাহিনীর কর্মকর্তার নির্দেশে হয়েছে, যিনি বলেছেন—এই স্থানে কোনো ‘হোটেল’ থাকতে পারবে না। মিজান মনে করেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তার এই রাস্তার পাশের দোকানটি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান, যা হয়তো কিছু সরকারি কর্মকর্তার চোখে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যে জায়গাটা আগে প্রকাশ্যে প্রস্রাব-মলত্যাগের জন্য ব্যবহৃত হতো, তখন কেউ কিছু বলেনি। এখন কেন আমার দোকান লক্ষ্যবস্তু? ফুটপাত উচ্ছেদের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের, তাহলে পুলিশ কেন পাঠানো হলো?”

মাগরিবের আগেই দোকান গুটিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় মিজানকে। ব্যবসা মন্দায় থাকায় স্ত্রীও অসন্তুষ্ট। তবে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে জানান, “দোকান ভেঙে দিলেও আমি অন্তত ৩০০ মানুষকে রাস্তা থেকে খাবার দিয়ে যাব।” একইসাথে তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন—“দয়া করে আমার হোটেলটি নষ্ট করবেন না।”

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT