“বিশ্বের পরিবর্তিত বাস্তবতার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার এখনই সময় এসেছে,” বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, মুসলিমরা, যারা বিশ্ব জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ গঠন করে, তারা বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার দাবিদার।
এরদোয়ান বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতা-সম্পন্ন একটি ইসলামী দেশের উপস্থিতি প্রয়োজনীয়তা, এটি শুধু চাহিদা নয়।”
তিনি আরও বলেন, “‘বিশ্ব পাঁচটির চেয়ে বড়’—এই নীতির ভিত্তিতে আমাদের সংগ্রামের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামো তৈরি করা যা বিশ্বব্যবস্থার স্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে।”
এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, “একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠিত না হলে, যা ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা বজায় রাখবে, ইসরায়েল কখনোই তার কাঙ্ক্ষিত শান্তি খুঁজে পাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করার আহ্বান জানানোই যথেষ্ট ছিল না, তার ওপর ইসরায়েলি মন্ত্রীরা আল আকসা মসজিদকে লক্ষ্য করে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আগুন নিয়ে খেলছে।”
তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, “ঐতিহাসিক জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ তুরস্কের জন্য ‘রেড লাইন’।”
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্ক ছাড়া ইউরোপের নিরাপত্তা কল্পনা করা অসম্ভব।
তিনি বলেন, তুরস্ক তার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (EU) সদস্যপদ প্রক্রিয়াকে “কৌশলগত অগ্রাধিকার” হিসেবে দেখে, কারণ তুরস্ক ইউরোপের “অবিচ্ছেদ্য অংশ”।
তিনি সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে এক ভাষণে বলেন, “তুরস্ক তার ন্যায্য স্থান না পেলে, ইউরোপের বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে উঠবে।”
এরদোয়ান এই মন্তব্য করেন পবিত্র রমজান মাসের ইফতার অনুষ্ঠানে।
সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি