জানা গেছে, এই গোল্ড কার্ড প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করছে মাস্কের দল।
মূলত ধনবান বিদেশি নাগরিকদের লক্ষ্য করেই এই পরিকল্পনা। ট্রাম্প বলেছিলেন, এটি হবে ইবি-৫ ভিসার আধুনিক ও উন্নত বিকল্প, যেখানে বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ দেয়া হয়। ইবি-৫ ভিসার আওতায় সাধারণত ৮ লাখ থেকে ১.০৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ১০ জন মার্কিন নাগরিককে চাকরি দিলে গ্রিন কার্ড পাওয়া যেত।
গোল্ড কার্ড প্রকল্পের আওতায় আরও দ্রুত ও সহজ প্রক্রিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ মিলবে। তবে এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব মিলবে না—এটি স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে।
প্রকল্পটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কো এলেজ ও এডওয়ার্ড কোরিস্টিন। তারা মার্চ মাস থেকে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। ট্রাম্প সম্প্রতি একটি ল্যামিনেটেড গোল্ড কার্ডও সাংবাদিকদের দেখান, যাতে ছিল তার ছবি, স্ট্যাচু অব লিবার্টি এবং একটি ঈগলের প্রতীক।
বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এক হাজার ভিসা ইস্যু করা হয়েছে বলে দাবি করলেও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এখনো কোনো লেনদেন হয়নি। সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে এবং এটি দুই সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে ইলন মাস্কসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই গণমাধ্যমে মুখ খুলতে রাজি হননি।