২৬ জুন ২০২৫
ডাচ শহর হেগে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “ইরান এই যুদ্ধে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে। আমি মনে করি না, তারা ভবিষ্যতে আর পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করবে। তারা এখন নিজেদের প্রতিরক্ষা, তেল ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। তারা সব কিছু হারিয়ে ফেলেছে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি হিরোশিমা-নাগাসাকির উদাহরণ দিতে চাই না, কিন্তু যুদ্ধ থামানোর ক্ষেত্রে এটি অনেকটা তেমনই একটি ঘটনা। আমাদের স্ট্রাইক ব্যর্থ হলে যুদ্ধ থামত না।”
ইতিহাসের পাতায় হিরোশিমা-নাগাসাকি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ প্রান্তে, ১৯৪৫ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা চালায়। এতে প্রাণ হারান দুই লাখেরও বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন সাধারণ নাগরিক। এই ঘটনার পর জাপান আত্মসমর্পণ করে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ত্বরান্বিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে মতভেদ
ট্রাম্পের এই বক্তব্য এমন সময় এল, যখন পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে—ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রভাব ছিল সীমিত। কিন্তু ট্রাম্প এই দাবিকে নাকচ করে নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লেখেন, “ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক অভিযান।”
তিনি আরও বলেন, “সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমস একজোট হয়ে এই বিজয়কে ছোট করে দেখাতে চাইছে।”
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।