২৯ ঘণ্টায় ৪৭ লাখ টাকা সংগ্রহ, আর অনুদান নেবেন না ডা. তাসনিম জারা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী গ্রেপ্তার, কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো ১৮ বছর পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, ঢাকায় স্মরণকালের বড় সংবর্ধনার প্রস্তুতি বিএনপির ২৯ ঘণ্টায় ৪৭ লাখ টাকা সংগ্রহ, আর অনুদান নেবেন না ডা. তাসনিম জারা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজধানীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, মাঠে সোয়াট ও গোয়েন্দা নজরদারি কূটনৈতিক এলাকায় সহিংসতা: ভারতকে কড়া বার্তা বাংলাদেশের রাজবাড়ীতে জমির আইল নিয়ে সংঘর্ষ, কৃষকের মৃত্যু ডিমের চরের নিরব কান্না ও নীল অর্থনীতির ভবিষ্যত ‎একটি ক্যাম্পাস, নয়টি স্বপ্নপূরণ শেকৃবিতে মাদকের আগ্রাসন বৃদ্ধি: প্রশাসনের নীরবতায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন প্রবাসী সম্মাননা ২০২৫-এ ভূষিত হলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ড. ওয়ালী তছর উদ্দিন এমবিই,জেপি

২৯ ঘণ্টায় ৪৭ লাখ টাকা সংগ্রহ, আর অনুদান নেবেন না ডা. তাসনিম জারা

সাবাস বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। মাত্র ২৯ ঘণ্টায় প্রায় ৪৭ লাখ টাকা অনুদান পাওয়ার পর তিনি আর কোনো অনুদান গ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান ডা. তাসনিম জারা।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “আমাদের ফান্ড রেইজিং লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪৭ লাখ টাকা আপনারা মাত্র ২৯ ঘণ্টায় পূরণ করে ফেলেছেন। আপনাদের এই অভূতপূর্ব সাড়া পুরানো রাজনৈতিক ধারার মূলে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আর কোনো অনুদান গ্রহণ করছি না।”

তিনি বলেন, এখন শুরু হচ্ছে মূল লড়াই। তার ভাষায়, অধিকাংশ প্রার্থী যেখানে নির্বাচনে ১০ থেকে ৫০ কোটি টাকা খরচ করবেন, সেখানে এনসিপি টাকার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে জনগণের শক্তির ওপর ভর করেই এগোতে চায়।
“অনেকে বলেন টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায়। কিন্তু তারা ভুলে যান—আমাদের সঙ্গে আছেন আপনারা,” বলেন তিনি।

ঢাকা-৯ আসনে প্রায় পাঁচ লাখ ভোটার উল্লেখ করে ডা. তাসনিম জারা বলেন, একজন প্রার্থী হিসেবে হেঁটে হেঁটে সর্বোচ্চ চার হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। ফলে কয়েক লাখ ভোটারের কাছে সরাসরি বার্তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে।

এই বাস্তবতায় স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে তিনি জানান, এনসিপি কোনো পেইড কর্মী নিয়োগ করবে না। বরং সাধারণ মানুষই হবে এই প্রচারণার প্রধান শক্তি।

তিনি বলেন, অনেকেই হয়তো ঢাকা-৯ আসনের ভোটার নন, তবে তাদের আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিত কেউ এই এলাকায় থাকেন। পরিচিত একজন মানুষের একটি ফোন কল বা ব্যক্তিগত কথা পোস্টার-ব্যানার কিংবা ব্যয়বহুল প্রচারণার চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে।

ডা. তাসনিম জারা আরও জানান, তিনি নিজে নিয়ম মেনে কোনো পোস্টার লাগাননি, যেখানে অন্য প্রার্থীরা পোস্টার ব্যবহার করছেন। এই অসমতা কাটাতে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণই বড় ভরসা।

✊ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আহ্বান

তিনি দুইটি সুনির্দিষ্ট আহ্বান জানান—

  • সপ্তাহে ৪–৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে টিমের সঙ্গে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার অনুরোধ।
  • পোলিং এজেন্ট হিসেবে বা নির্বাচনের দিন ভোটার সহায়তায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান, যাতে প্রতিটি বুথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সাহসী মানুষ থাকে।

🔍 ফান্ড ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি

সংগৃহীত অর্থের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চারটি পদক্ষেপের কথা জানান ডা. তাসনিম জারা—

  • কোনো নগদ অনুদান গ্রহণ করা হয়নি

  • একটি বিকাশ ও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ, যা বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত

  • প্রতিটি অনুদানের মাধ্যমভিত্তিক হিসাব নিয়মিত প্রকাশ

  • সংগৃহীত অর্থ কোন খাতে ব্যয় হবে, তা প্রকাশ্যে জানানো হবে

তিনি বলেন, এই দুইটি অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ নতুন এবং ব্যক্তিগত কোনো লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত নয়। ফলে হিসাবের স্বচ্ছতা নিয়ে কোনো প্রশ্নের সুযোগ নেই।

শেষে তিনি বলেন, “আমরা একসঙ্গে প্রমাণ করব—জনগণের সম্মিলিত শক্তির সামনে কোটি কোটি কালো টাকা কতটা অসহায়।”

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT