আফগান সীমান্তঘেঁষা মীর আলি এলাকায় সেনাবাহিনীর কনভয়ে আত্মঘাতী গাড়ি হামলায় অন্তত ১৩ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। বিবৃতিতে বলা হয়, এই মর্মান্তিক ও নৃশংস হামলায় দুই শিশু ও এক নারীসহ তিনজন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার পর এলাকায় চালানো সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একে “কাপুরুষোচিত কাজ” বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
একজন স্থানীয় প্রশাসক রয়টার্সকে জানান, “এটি ছিল বিশাল, একটা বড় বিস্ফোরণ।” তিনি আরও বলেন, শহরের বাসিন্দারা অনেক দূর থেকে বিস্ফোরণস্থল থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন।
একজন বাসিন্দা বলেন, বিস্ফোরণের কারণে আশেপাশের বাড়িগুলোর জানালার কাঁচ কেঁপে উঠে এবং কিছু ছাদ ভেঙে পড়ে।
এখনো পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বলেছে, এই হামলা তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসীরা চালিয়েছে—যা ভারত প্রত্যাখ্যান করেছে।
আফগানিস্তান-সংলগ্ন এই অরাজক জেলা দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত, যারা সীমান্তের দুই পাশেই তৎপর।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীরা প্রশিক্ষণ শিবির চালিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এ ধরনের উগ্রবাদের বিষয়টি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা।
রবিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেই বিবৃতি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে, যেখানে ভারতে হামলার দায় চাপানো হয়েছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযান চালালেও, অধিকাংশ সময়েই তারা সন্ত্রাসীদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে।