ভারতের আসামে কংগ্রেস নেতার ‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত’ গাওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘোষণার প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল কুবির বিজয়-২৪ হলে বিতর্ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ৪৯তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম কুবির অলি উল্লাহ বাংলা সাহিত্যের অগ্রদূত মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত বুটেক্স সায়েন্স ক্লাবের নেতৃত্বে তাসমিয়া-পিয়াস শাপলা চত্বর গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১২ জানুয়ারি প্রবীণ আলেম ও রাজনীতিবিদ আল্লামা মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী (রহ.) ইন্তেকাল করেছেন সিচুয়ানে উদ্বোধনের কয়েক মাস পরই ধসে পড়ল হংছি ব্রিজ ২০২৬ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষর, বাংলাদেশ থেকে যাবে ৭৮ হাজার ৫০০ হজযাত্রী জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়: জামায়াত আমির

ভারতের আসামে কংগ্রেস নেতার ‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত’ গাওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক

আন্তর্জাাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪১ বার দেখা হয়েছে

শ্রীভূমিতে কংগ্রেসের বৈঠকে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন নিয়ে বিজেপির সমালোচনা, কংগ্রেস বলছে—‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত নয়, এটি রবীন্দ্রনাথের গান।’

ভারতের আসাম রাজ্যে কংগ্রেস সেবা দলের এক বৈঠকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অভিযোগে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া বুধবার জানিয়েছে, সোমবার শ্রীভূমি জেলার একটি বৈঠকে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা বিধুভূষণ দাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি গাওয়ার পর এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীভূমির ভাঙার বাসিন্দা এবং সেবা দলের জেলা ইউনিটের সাবেক চেয়ারম্যান বিধুভূষণ দাস স্থানীয় কংগ্রেস কার্যালয় ইন্দিরা ভবনে করিমগঞ্জ (শ্রীভূমি) জেলা সেবা দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বক্তব্য শুরু করার আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানটি পরিবেশন করেন।

ঘটনাটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিজেপি নেতাসহ রাজ্যের রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

আসামের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, “কংগ্রেস এমন একটি দল যেখানে সবকিছুই সম্ভব। তারা কখন কী গান করতে হয়, সেটাও জানে না। আমি ভিডিওটি দেখব এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশকে অনুরোধ করব।”

তবে কংগ্রেস নেতারা অভিযোগটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস কমিটির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান শাহাদাত আহমেদ চৌধুরী স্বপন বলেন, “এটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত নয়, একটি রবীন্দ্রসংগীত। বিধুভূষণ দাস তার বক্তব্য শুরু করার আগে বলেছিলেন, তিনি একটি রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশন করবেন। তিনি একজন প্রবীণ নেতা, যিনি প্রতি স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।”

চৌধুরী আরও বলেন, “আমার সোনার বাংলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সাহিত্যিক সৃষ্টি, যা বাংলাদেশ পরে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করেছে। তাই এটিকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা রাজনৈতিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি ছাড়া কিছু নয়।”

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, যেখানে বিজেপি ও কংগ্রেস উভয়পক্ষ একে অপরকে সাংস্কৃতিক বিভ্রান্তি ও রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানিতার অভিযোগে আক্রমণ করছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT