
#সর্বত্র একটি বর্ণনা দেখা যাচ্ছে: (من سب نبيا فاقتلوه) অর্থাৎ ‘যে ব্যক্তি কোনো নবীকে গালি দেয় তাকে হত্য্যা করো’। বর্ণনাটি দুর্বল। রক্তপাত সম্পর্কিত বিষয়ে এই প্রকৃতির বর্ণনা দলীলযোগ্য নয়। তবে বক্তব্য ভুল নয়। শাাতিমের শাস্তি হত্যা- এই বিষয়ে সকল আলিম একমত।
# শাাতিম তাওবা করলে কবূল করা হবে কি না? আখিরাতে কবুল হবে ইনশাআল্লাহ এই বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু তাওবার মাধ্যমে পার্থিব শাস্তি তথা হত্য্যা রহিত হবে কি না বিষয়টি মতপার্থক্যপূর্ণ। চার মাযহাবের ইজমা নেই। হাম্বলী মাযহাব মতে, শাস্তি রহিত হবে না। হদ্দ হিসেবে তাওবা সত্ত্বেও হত্য্যা করা হবে। হানাফী মাযহাবের ফয়সালা হলো, শাাতিম মুরতাদের বিধানে। ফলে তাওবা করলে পার্থিব শাস্তি রহিত হয়ে যাবে।
# লক্ষণীয়, মতপার্থক্যটা স্রেফ হত্য্যা রহিত হবে কি না সেই ব্যাপারে। এর মানে হলো, শাাতিমকে সর্বাবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচারের সম্মুখীন করা হবে। তাওবাও নেয়া হবে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে। বিচারকের সামনে তাওবা করলে বিচারক ব্যক্তির অবস্থার প্রেক্ষিতে ফয়সালা করবেন। কিন্তু গর্তে লুকিয়ে থেকে ‘ভুল করেছি’ বললেই সব মাফ হয়ে যাবে, সর্বপ্রকারের দায় থেকে মুক্ত হবে- এমন কথা ইসলামের ইতিহাসে কেউ বলেনি।
# শাাতিমের শাস্তির দায়িত্ব শাসকের কাঁধে। ইসলামী শরীয়াহ নানান হিকমতের কারণে ব্যক্তি বিশেষকে এমন ভারী দায়িত্ব দেয়নি। তবে শাাতিম যেহেতু মুহদারুদ-দাম, তাই কোনো মুসলিম সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যক্তি উদ্যোগে তাকে হত্য্যা করে ফেললে হত্যাকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বৈধতা নেই। হ্যাঁ শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে দায়িত্বশীল শাসক তাকে লঘু শাস্তি (তাযীর) দিতে পারে। কিন্তু শাসকের নিজের ত্রুটি বা গাফলতির কারণে ঘটলে সেক্ষেত্রে কোনো প্রকারের শাস্তি দেয়ার নৈতিক সুযোগ নেই। এজন্য বরং শাসক নিজেই দায়ী ও নিন্দাযোগ্য।
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd