আজ ২২, শাওয়াল। আর এক সপ্তাহ বাকি আছে শাওয়াল মাসের। আপনি কি শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রেখেছেন?
আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬৪)
ফজিলতপূর্ণ শাওয়াল মাসের ছয় রোজা গুলো প্রত্যেক মুসলমানকেই রাখা একান্ত প্রয়োজন। আল্লাহ তাআলার বিরাট উপঢৌকন পেতে রমজানের রোজা রাখার পর ছয়টি রোজা রাখা একদমই সহজ।
এ প্রসঙ্গে হজরত উবাইদুল্লাহ (রা.) থেকে এটি বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন-একদিন রসুলুল্লাহ (স.)-কে জিগ্যেস করলাম, ইয়া রসুলাল্লাহ, আমি কি সারা বছর রোজা রাখতে পারব? তখন রসুল (স.) বললেন, ‘তোমার ওপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে, কাজেই তুমি সারা বছর রোজা না রেখে রমজানের ফরজ রোজা রাখো এবং রমজানেরর পরবর্তী মাস শাওয়ালের ছয় রোজা রাখো, তাহলেই তুমি সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে (জামে তিরমিজি: ১ম খণ্ড, পৃ-১৫৭)। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত।
‘তাছাড়া হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (স.) বলেন, ‘রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা।’ অন্য রেওয়ায়েতে আছে, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ছয় দিন রোজা রাখবে, সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য (মুসনাদে আহমদ, ৫/২৮০; দারেমি: ১৭৫৫)।’
স্তুত ওপরিউক্ত হাদিসের সঙ্গে পবিত্র কুরআনুল কারিমের একটি আয়াতের মিল রয়েছে; যেমন-মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘কেউ কোনো নেক আমল করলে, তাকে তার দশ গুণ সওয়াব প্রদান করা হবে (সূরা আনআম: ১৬০)।’ রমজানের এক মাসের দশ গুণ হলো ১০ মাস আর শাওয়াল মাসের ছয় দিনের দশ গুণ হলো ৬০ দিন, অর্থাৎ দুই মাস। সুতরাং ৩৬টি রোজায় সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। তবে এরকম শর্ত থাকলেও শরিয়তসম্মত কারণে রমজানের পূর্ণমাস রোজা রাখেননি, এমন লোকদের শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখাতে বাধা নেই।