কৌশল পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সমান সুযোগ নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) এর যৌথ উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১ জুলাই (রবিবার) আয়োজিত এই সভায় অংশ নেন রুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. এইচ. এম. রাসেল, আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সামিউল হাবিব, এবং সিএমই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. বদিউল ইসলাম।
সভায় ডিপ্লোমা ভিত্তিক অতিরিক্ত কোটা, অগ্রাধিকার ও নিয়োগে বিদ্যমান বৈষম্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। রুয়েটের ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্টনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুল হক লিপু প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে দাবিসমূহ উপস্থাপন করেন।
রুয়েট উপাচার্য বলেন, “যোগ্যতার ভিত্তিতে সুযোগ না দেওয়া অন্যায্য। কোনও অনৈতিক কৌশলে নিম্নতর যোগ্যতাকে সর্বোচ্চ যোগ্যতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। সকল পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার অধিকারীদের স্বাভাবিক সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।”
আইইবি প্রতিনিধি দল রুয়েট প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জানান, “এটি কেবল আইইবি-এর নয়, বরং দেশের প্রকৌশলীদের সার্বিক অধিকার আদায়ের দাবি। রুয়েটসহ দেশের প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠিত পদক্ষেপের ফলে আইইবি এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি উপস্থাপন করতে পারছে।”
উক্ত সভায় আইইবি আশ্বস্ত করেছে যে, নবম গ্রেডে অতিরিক্ত কোটা দিয়ে নিয়োগ পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ৩৩%-এর অধিক কোটা যেখানে অনৈতিকভাবে প্রয়োগ হয়েছে, তা বাতিলে সক্রিয় আলোচনা চলবে। যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক প্রকৌশল সমাজ গড়তে এই দাবি বাস্তবায়নে সরকারের উচ্চ মহলে সমাধান প্রক্রিয়া চালু থাকবে
সভায় আইইবি-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশলী খান মনজুর মোরশেদ, অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. সাব্বির মোস্তফা খান, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল রাসেল, প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী প্রমুখ।