
রাখাল রাহা একটা লম্বা লেখা লিখেছে৷ সেখানে সে পরোক্ষভাবে আল্লাহর নামে কটুক্তির পক্ষেই যুক্তি দিয়েছে।
১। রাখাল রাহা আল্লাহ নামে মেটাফরিক কটুক্তি করেছিলো কেনো?
গালিবের পক্ষে ছাফাই গাইতে।
২। প্রতিবাদের মুখে সে নিজের কটুক্তির পক্ষে ছাফাই গেয়ে ক্ষমা চায়। বলে, কোন মুফতির সাথে সে কথা বলেছে৷ মুফতি বলেছে জনগণ তো আপনার কথা বুঝবে না, আর জনগণকে এভাবে পরীক্ষা নেয়া ঠিক না, তাই সে ক্ষমা চাইছে। সে ভুল করেছে এটা স্বীকার করে না সে পোস্টে।
৩। যখন দেখছে পরিস্থিতি বিপদজনক টার্ণ নিচ্ছে তখন সে নিঃশর্ত ক্ষমা চায়। কিন্তু ততক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
তৌহিদি জনতার তাকে এনসিটিবি থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে গেছে৷ কিন্তু সরকার তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নাই। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে করেই হোক রাখাল রাহাকে সেভ করবে, তাতে দেশের পরিস্থিতি যাই হোক।
সরকারের এই সাপোর্টে রাখাল রাহার সাহস বেড়ে গেছে। সে গতকাল যে পোস্ট দিছে সেখানে সে ৩নম্বর অবস্থান থেকে ২নম্বর অবস্থানে ব্যাক করেছে। সে আবারো গালিবের পক্ষে কথা বলেছে। তার কথায় বোঝা যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা মুর্খ, তার উচ্চমার্গীয় কথা বোঝার ক্ষমতা এই মাথামোটা ইসলামপন্থীদের নেই। সাথে হুমকি ধামকি নিয়ে কান্নাকাটি করেছে।
তাছাড়া, পোস্টে সে বোঝাতে চাইছে, যারা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তারা হাসিনার সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার চায় না৷ সে অনেক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে, এজন্য হাসিনার দোসরদের তার ওপর ক্ষোভ। এরচেয়ে মিথ্যা দাবি আর কী হতে পারে! হাসিনার সময়ে শিক্ষা নিয়ে তার চেয়ে বেশি সরব আমরা ছিলাম। আপনারা সেটার সাক্ষী। রাখাল একজন মিথ্যাবাদি।
রাখালের বিষয়টা একটা টেস্ট কেস। সরকার দেখতে চাচ্ছে ইসলামপন্থীদের পাত্তা না দিলে কোন সমস্যা হয় কিনা। সেকুমহলেও মেসেজ যাচ্ছে, ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিলে সমস্যা নেই, সরকার কোন ব্যবস্থা নিবে না।
দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd