যেই ভাই এর স্ত্রীকে র্যাব কমান্ডার বার বার ধর্ষণ করেছিলো, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওনার স্ত্রী ছিলেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
প্রথমে ওনার স্বামীকে না পেয়ে ওনাকে গুম করা হয়। পরবর্তীতে ওনার স্বামী স্বেচ্ছায় ধরা দেন স্ত্রীর মুক্তির বিনিময়ে। স্ত্রীকে ছাড়া হয় কিন্তু আলেপের অপকর্ম তখনো শেষ হয়নি। স্বামীকে ক্রস ফায়ার দেবার হুমকি দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। রমজানের মাঝে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। বিশেষ করে ২৭ রমজানের কদরের পবিত্র দিনে রোজা ভাঙ্গিয়ে এই কাজ করার পরে তিনি মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েন। মাঝে মাঝে চিৎকার করে কাঁদতেন, জীবিত থেকে মৃতের মতন বেঁচে থাকতেন। খুব চাইতো আর বেঁচে না থাকতে।
অবশেষে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে উনি ২০১৮ সালে মারা যান। সেই সময় ওনার বয়স ছিলো ৩৪ বছর। মৃত্যুর আগে উনি একজন সন্তান রেখে যান এই পৃথিবীতে।
দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এর পরে আলেপের অপকর্ম উপেক্ষা করে একের পর এক পদক পাচ্ছিলো সরকার থেকে। যা দেখা ছিলো আরেক ধরণের টর্চার। ২০২৪ সালে সরকার পতনের পরেও আলেপ ছিলো বহাল তবিয়ত। জুলকারনাইন সায়ের অক্টোবরে পোস্ট দিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন যে ঠাণ্ডা মাথায় শ খানেক ক্রস ফায়ার এবং যাত্রাবাড়ীতে গণহত্যা চালানোর পরে কীভাবে একজন বহাল তবিয়তে টিকে থাকে। সরকার কী করছে? তারও বহুদিন পরে বরিশাল থেকে আলেপকে গ্রেফতার করা হয়।
কিন্তু নিজের সন্তানের কথা চিন্তা করে স্বামী এখন মামলা করতে রাজি না। কারণ, ওনার মতে অনেক অত্যাচারী অফিসার চাকরি করে যাচ্ছেন এবং সময় আসলে তারা আবার প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠবে। তাই নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তার জন্য উনি নীরবে সবকিছু সহ্য করে যাচ্ছেন।
(ভিক্টিমের স্বামীর সাথে কথা বলে আমি নিজে এই ঘটনা লিখেছি)
আরো পড়ুনঃ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০০ কোটি টাকা অনুদান দিলেন বাংলাদেশি!
Leave a Reply