পুরনো জরাজীর্ণ ও স্মৃতিকে পেছনে ফেলে নববর্ষকে বরণ করতে প্রস্তুত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)।চৈত্র সংক্র্যান্তি ১৪৩১ ও বাংলা নতুন বছর ১৪৩২-কে স্বাগত জানাতে বিশ্ববিদ্যালকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. হারুন-অর-রশিদ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দুই ব্যাপী নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মিডিয়া চত্বরে দিনব্যাপী চলবে ‘ বৈশাখী মেলা’।
চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল, রোববার বিকেল ৪টায় ফুটবল খেলার মাঠে আয়োজন করা হবে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা। পরদিন ১৪ এপ্রিল, সোমবার পহেলা বৈশাখে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে শুরু হবে আনন্দ শোভাযাত্রা যা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করবে।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত একাডেমিক ভবন সমূহের সামনে অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখী মেলা ও বিভিন্ন বিভাগের স্টল প্রদর্শন। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মিডিয়া চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রত্যেক বিভাগের জন্য পৃথক স্টল থাকবে এবং বিভাগসমূহকে নিজস্ব ব্যানারসহ অংশগ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঘুড়ি উড়ানো, শোভাযাত্রা ও স্টল সাজানোয় অংশগ্রহণকারী বিভাগের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানানো হয়েছে। মেলায় আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে নানা রঙের মুখোশ, ফেস্টুনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের তৈরি বিভিন্ন চিত্রকর্ম ও প্রদর্শন করা হবে।
ফিল্ম এন্ড আর্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সানজানা ইবনাত বলেন পহেলা বৈশাখ আমাদের সার্বজনীন উৎসব, যা বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল প্রতীক। এই বিশেষ দিনটিকে আরও বর্ণিল ও আনন্দমুখর করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে আলপনা উৎসবের আয়োজন করেছে, তা সত্যিই অসাধারণ উদ্যোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃজনশীল সংগঠন ফিল্ম এন্ড আর্ট সোসাইটি (ফ্ল্যাস) এই উৎসবের দায়িত্ব পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত।
ফ্লাসের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সৃজনশীল শিক্ষার্থী এই আলপনা উৎসবে অংশগ্রহণ করবে। আমরা সকলে মিলে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসকে রঙ-বেরঙের আলপনায় সাজিয়ে তুলব, যা ক্যাম্পাসে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
আমরা বিশ্বাস করি, এই উৎসব আমাদের ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে। ফ্ল্যাসের পক্ষ থেকে, আমি এই উৎসবকে সফল করে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং আশা করি, সকলে মিলে একটি স্মরণীয় পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এবারের আয়োজন হয়ে উঠবে এক স্মরণীয় উৎসব, এমনটাই প্রত্যাশা করছে কর্তৃপক্ষ