ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিএসসি ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকারের আত্মহত্যার ঘটনার পর প্রায় দুই মাস ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে কলেজটির শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেছেন, ‘কম্বাইন্ড সিস্টেম’ নামক পরীক্ষাপদ্ধতির বলি হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে ধ্রুবজিৎকে।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ কয়েকটি প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অধিভুক্ত হয়ে ‘প্রযুক্তি ইউনিট’ নামে পরিচালিত হয়ে আসছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে সেমিস্টার পরীক্ষা—সবকিছুই একযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে হওয়ায় সেশনজট ও নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শুরুতে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উত্থাপন করলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সন্তোষজনক কোনো সাড়া না পাওয়ায় এখন তারা এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে—তা হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে তিনটি সরকারি কলেজকে ‘BIT (Bangladesh Institute of Technology)’ রূপে রূপান্তরিত করা।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মিজানুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক দাবির মধ্যে ছিল নিজেদের কলেজে নিজস্ব পরীক্ষাপদ্ধতি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়টি তাদের নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে জানিয়েছে।”
কলেজটির এক শিক্ষার্থী সিবাজী রায় জানান, “আমরা ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।”
শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না—জানতে চাইলে তারা বলেন, “শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করি সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে।”
উল্লেখযোগ্য যে, একসময় রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েট ‘বিআইটি’ হিসেবে পরিচালিত হতো। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বতন্ত্র প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।