গাজায় জিহাদের ডাক দিলেন মুফতি তাকী উসমানি - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
দেশেই হবে বিশ্বমানের বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা, তুরস্কের বিনিয়োগে নতুন হাসপাতাল টিএফডির শিরোপা জয়, তবু বুটেক্সে অশান্তি; খেলাকেন্দ্রিক সংঘাতে তদন্ত শুরু ট্রাম্পের হুমকিতে মামদানির জবাব: উন্নয়ন তহবিল বন্ধ হলে আদালতে যাব শেকৃবিতে কর্মকর্তা–কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ও ড্রপআউট ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা রাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত কিউএস র‌্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো স্থান পেল শেকৃবি কুবিতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ও সদস্য ফরম বিতরণ নিউইয়র্কের তরুণ মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি: এক বছরে অচেনা মুখ থেকে বৈশ্বিক প্রভাবের কেন্দ্রে

গাজায় জিহাদের ডাক দিলেন মুফতি তাকী উসমানি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৭ বার দেখা হয়েছে

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের নীরবতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের খ্যাতনামা ইসলামি চিন্তাবিদ ও ওয়েফাকুল মাদারিসের প্রধান মুফতি তাকি উসমানি। জাতীয় ফিলিস্তিন সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “যদি মুসলিম দেশের সেনাবাহিনী গাজার নির্যাতিতদের রক্ষায় জিহাদে অংশ না নেয়, তবে এসব বাহিনী রাখার প্রয়োজনটাই বা কী?”

তিনি ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বিক্ষোভ হতে হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। জানমাল ধ্বংস ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী হারাম।” পাশাপাশি তিনি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন যে, পাকিস্তান কখনোই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দেবে না।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিশিষ্ট আলেমরা গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক সংকটের চিত্র তুলে ধরেন। তারা জানান, এ পর্যন্ত ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান ইসরায়েলকে “সন্ত্রাসী রাষ্ট্র” আখ্যা দিয়ে বলেন, “সময়ের দাবি এখন সামরিক হস্তক্ষেপের। শুধু বিবৃতি নয়, এখন দরকার কার্যকর পদক্ষেপ।”

সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদ খান বলেন, “গাজায় স্পষ্টভাবে গণহত্যা চলছে। ৫৭টি মুসলিম দেশের উচিত শুধু নিন্দা নয়, জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া।”

সম্মেলনের শেষ প্রস্তাবে ইসরায়েলের আগ্রাসনকে প্রকাশ্য গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালতের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়। প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে জিহাদকে ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং বলা হয়, “নিকটবর্তী মজলুমদের সাহায্য করা ইসলামের শিক্ষা।”

সম্মেলনে আগামীকাল ‘নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমকে ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েলি দখলকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

সুত্র: https://www.pakistantoday.com.pk/2025/04/11/mufti-usmani-condemns-muslim-states-failure-to-act-against-israel/

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT