নোটিশ:
শিরোনামঃ
সীমান্তে উত্তেজনা: আখাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আহত ভারতের গৃহীত সিদ্ধান্তের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের বেরোবিতে অনুষ্ঠিত হলো গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা আধুনিক কৃষি: টেকসই কৃষি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ সালাতুল ইস্তিসকার আয়োজন করলে চাপ আসত ভারত থেকে যেকোনো মুহূর্তে ভারতের হামলার আশঙ্কা, প্রস্তুত পাকিস্তান দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, বন্ধ জেরুজালেমের পথ মৃত্যুর মুখে শৈশবের শিক্ষা: ‘কালেমা’ পাঠে বাঁচলেন অধ্যাপক ও পরিবার নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইসি, কারো দিকে তাকিয়ে নয়: সিইসি ঐক্যের পথে শীর্ষ ইসলামী দলগুলো

লাইলাতুল কদর : গুরুত্ব ,দোয়া, হাদিস ও চেনার আলামত

মোঃ রাহিম আলী
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৭ বার দেখা হয়েছে
লাইলাতুল কদর

ইসলামে লাইলাতুল কদর এর গুরুত্ব

শবে কদর, যা লাইলাতুল কদর নামেও পরিচিত, ইসলাম ধর্মে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাতগুলির মধ্যে একটি।

এটি রমজান মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে যে কোন একদিন। বিশেষ করে ২৭তম রাতটি অধিক মর্যাদাপূর্ণ।

এই রাতটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কারণ এটি সেই রাত, যখন কোরআন  অবতীর্ণ হয়েছিল।

লাইলাতুল কদরকে “হাজার মাসের চেয়েও উত্তম” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

যার মানে হলো, এই রাতে করা যে কোনো ইবাদত ৮৩ বছরের বেশি সময় ধরে করা ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

শবে কদরের গুরুত্ব আরো বাড়ানো হয়েছে সূরা কদরে, যেখানে বলা হয়েছে যে এই রাত শান্তি ও বরকতে পরিপূর্ণ।

এই রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন, এবং বিশ্বাসীদের জন্য দোয়া ও করুণা নিয়ে আসেন।

তারা শান্তি নিয়ে আসেন এবং আগামী বছরের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফয়সালা নিয়ে আসেন।

রাতটি ফজরের আগ পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এবং এটি মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ সময় যেখানে তারা ইবাদত, দোয়া এবং আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কাছাকাছি হতে পারে।

লাইলাতুল কদরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির মধ্যে একটি হলো আল্লাহর ক্ষমা এবং দয়া চাওয়া।

মুসলমানদের পরামর্শ দেওয়া হয় যে তারা বিশেষ দোয়া পাঠ করুন, যেমন “اللهم إنك عفو تحب العفو فاعفو عني” (হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করুন)।

এই দোয়া একজন বিশ্বাসীর আল্লাহর দয়া এবং ক্ষমার জন্য আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে।

এই রাতটি মুসলমানদের জন্য একটি সময়, যেখানে তারা তাদের ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত এবং ভালো কাজের মাধ্যমে তাদের আধ্যাত্মিক জীবনের উন্নতি করতে পারে।

শবে কদর একটি আত্মবিশ্লেষণ, ঈমানের পুনর্নবীকরণ এবং আল্লাহর রহমত পাওয়ার একটি রাত, এবং এটি ইসলামী ক্যালেন্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত।

লাইলাতুল কদরের মর্যাদা

কুরআনুল কারিমের সূরা কদরে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।”

এর অর্থ, যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদত করবে, তার ইবাদতের সওয়াব হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে বেশি হবে।

এটি ইসলামের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য, যা অন্যান্য রাতের চেয়ে লাইলাতুল কদরকে বিশেষ করে তোলে।

কুরআন নাজিলের রাত

লাইলাতুল কদর কুরআন নাজিলের রাত হিসেবে পরিচিত। আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে কুরআন নাজিল করতে শুরু করেন।

এই রাতেই আল্লাহর পক্ষ থেকে আসমানী কিতাব কুরআন পৃথিবীতে মানুষের জন্য পাঠানো হয়। এই রাতের তাৎপর্য আরো বাড়িয়ে তোলে কুরআনের এই বিশেষ নাজিল হওয়া।

ফেরেশতাদের অবতরণ

লাইলাতুল কদর রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে অবতরণ করেন। আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতারা পৃথিবী জুড়ে কল্যাণ, বরকত এবং রহমত নিয়ে আসে।

ফেরেশতারা মুমিনদের জন্য দোয়া করেন এবং এই রাতের ইবাদতগুলোকে আরও বরকতময় করে তোলেন।

গুনাহ মাফের সুযোগ

এই রাতে আল্লাহ তাআলা সগীরা গুনাহসমূহ মাফ করে দেন। যে ব্যক্তি সৎ উদ্দেশ্যে ইবাদত করে এবং তওবা করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। এটি একটি বিশেষ সুযোগ, যার মাধ্যমে মুমিনরা তাদের পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে এবং আল্লাহর রহমত লাভ করতে পারে।

শান্তি ও বরকতময় রাত

লাইলাতুল কদর রাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি ও বরকত বর্ষিত হয়। এটি একটি শান্তিপূর্ণ রাত, যেটি ফজর পর্যন্ত বিশেষ রহমত ও শান্তি নিয়ে আসে। এই রাতের প্রতিটি মুহূর্ত মুমিনদের জন্য আল্লাহর বিশেষ কল্যাণের সাথে পরিপূর্ণ।

বিশেষ দোয়া ও ইবাদত

রাসূলুল্লাহ (সা.) উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.)-কে এই রাতে বিশেষ দোয়া শিখিয়েছেন, যা হলো,

“আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি” (হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, আমাকে ক্ষমা করুন।

এই দোয়া ও ইবাদত করলেই আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ মাগফিরাত পাওয়া যায়।

রমজানের শেষ দশকে অনুসন্ধান

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে একটি।” তাই মুমিনরা রমজানের শেষ দশকে বিশেষত ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ তারিখে শবে কদর সন্ধান করতে চেষ্টা করে, যাতে তারা এই রাতের বরকত ও ফজিলত লাভ করতে পারে।

ইতিকাফের গুরুত্ব

রাসূল (সা.) রমজানের শেষ দশকে মসজিদে ইতিকাফ করতেন, যাতে তিনি লাইলাতুল কদর লাভ করতে পারেন।

ইতিকাফ একটি বিশেষ ধরনের ইবাদত, যেখানে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে নিজেদের মনোযোগী করেন এবং দুনিয়ার সমস্ত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকেন।

প্রজ্ঞাপূর্ণ সিদ্ধান্তের রাত

লাইলাতুল কদর রাতেই আল্লাহ তাআলা পরবর্তী এক বছরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ফয়সালা করেন। এ রাতে মানুষের ভাগ্য, জীবন-মৃত্যু, রিজিকের পরিমাণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের নির্দেশিকা দেওয়া হয়।

মুমিনদের জন্য বিশেষ সুযোগ

কদর মুমিনদের জন্য বিশেষ সুযোগ এনে দেয়, যেখানে তারা আল্লাহর কাছ থেকে অধিক পরিমাণে রহমত, ক্ষমা, এবং নৈকট্য লাভ করতে পারে।

এই রাতে ইবাদত করলে মানুষের হৃদয়ে শান্তি, তৃপ্তি ও আল্লাহর সান্নিধ্য অনুভূত হয়।

লাইলাতুল কদর একটি বিশেষ রাত, যা মুসলমানদের জন্য এক বিরাট উপহার।

এই রাতে আল্লাহর বিশেষ রহমত এবং মাগফিরাত পাওয়ার জন্য মুসলমানদেরকে অবশ্যই অধিক ইবাদত, দোয়া এবং তাওবা করতে হবে।

লাইলাতুল কদরের দোয়া

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি তো খুবই ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাই তুমি ভালোবাস। সুতরাং ক্ষমা করে দাও আমাকে। (মেশকাত, হাদিস: ২০৯১; তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)

লাইলাতুল কদর সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস

 

(রমাযানের) শেষের সাত রাতে লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করা।

 

ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্নের মাধ্যমে রমাযানের শেষের সাত রাত্রে লাইলাতুল ক্বদর দেখানো হয়।

(এ শুনে) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমাকেও তোমাদের স্বপ্নের অনুরূপ দেখানো হয়েছে। (তোমাদের দেখা ও আমার দেখা) শেষ সাত দিনের ক্ষেত্রে মিলে গেছে।

অতএব যে ব্যক্তি এর সন্ধান প্রত্যাশী, সে যেন শেষ সাত রাতে সন্ধান করে। (১১৫৮, মুসলিম ১৩/৪০, হাঃ ১১৬৫, আহমাদ ৪৫৪৭)

 

আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত

তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে রমাযানের মধ্যম দশকে ই‘তিকাফ করি।

তিনি বিশ তারিখের সকালে বের হয়ে আমাদেরকে সম্বোধন করে বললেনঃ আমাকে লাইলাতুল ক্বদর (-এর সঠিক তারিখ) দেখানো হয়েছিল পরে আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতে তার সন্ধান কর। আমি দেখতে পেয়েছি যে, আমি (ঐ রাতে) কাদা-পানিতে সিজদা করছি।

অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে ই‘তিকাফ করেছে সে যেন ফিরে আসে (মসজিদ হতে বের হয়ে না যায়)।

আমরা সকলে ফিরে আসলাম (থেকে গেলাম)। আমরা আকাশে হাল্কা মেঘ খন্ডও দেখতে পাইনি।

পরে মেঘ দেখা দিল ও এমন জোরে বৃষ্টি হলো যে, খেজুরের শাখায় তৈরি মসজিদের ছাদ দিয়ে পানি ঝরতে লাগল।

সালাত শুরু করা হলে আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কাদা-পানিতে সিজদা করতে দেখলাম।

পরে তাঁর কপালে আমি কাদার চিহ্ন দেখতে পাই। (৬৬৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৮৬)

 

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমযান মাসের মাঝের দশকে ই’তিকাফ করেন।

বিশ তারিখ অতীত হওয়ার সন্ধ্যায় এবং একুশ তারিখের শুরুতে তিনি এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ই’তিকাফ করেছিলেন সকলেই নিজ নিজ বাড়িতে প্রস্থান করেন এবং তিনি যে মাসে ইতিকাফ করেন ঐ মাসের যে রাতে ফিরে যান সে রাতে লোকদের সামনে ভাষণ দেন।

আর তাতে মাশাআল্লাহ, তাদেরকে বহু নির্দেশ দান করেন, অতঃপর বলেন যে, আমি এই দশকে ই’তিকাফ করেছিলাম। এরপর আমি সিদ্ধান্ত করেছি যে, শেষ দশকে ই’তিকাফ করব।

যে আমার সংগে ই’তিকাফ করেছিল সে যেন তার ই’তিকাফস্থলে থেকে যায়। আমাকে সে রাত দেখানো হয়েছিল, পরে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

(আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন): শেষ দশকে ঐ রাতের তালাশ কর এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তা তালাশ কর।

আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, ঐ রাতে আমি কাদা-পানিতে সিজদা করছি।

ঐ রাতে আকাশে প্রচুর মেঘের সঞ্চার হয় এবং বৃষ্টি হয়। মসজিদে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর সালাতের স্থানেও বৃষ্টির পানি পড়তে থাকে।

এটা ছিল একুশ তারিখের রাত। যখন তিনি ফজরের সালাত শেষে ফিরে বসেন তখন আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই যে, তাঁর মুখমন্ডল কাদা-পানি মাখা।

 

আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন রমযানের শেষ দশক আসত তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশী বেশী ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্র জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন।

লাইলাতুল ক্বদর চেনার আলামত

  • রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।
  • নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।
  • মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।
  • সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।
  • কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।
  • ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।
  • সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।

আল্লাহর দয়া, ক্ষমা এবং বরকতের এই রাতটি আল্লাহর কাছে আরও কাছাকাছি যাওয়ার পাশাপাশি তাওবা করার এবং ইবাদত করার।

রমজান মাসের শেষ দশকে বিশেষ করে শবে কদর সন্ধান করা মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

তাই এই রাতের গুরুত্ব এবং ফজিলত বুঝে, আমাদের সঠিক ইবাদত ও দোয়া করা উচিত, যাতে আল্লাহর নিকট থেকে তার রহমত ও ক্ষমা লাভ করতে পারি।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT