যশোরের কেশবপুরে ছাত্র-জনতার দাপটে ধরা পড়লেন যশোরের সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম। বছরখানেক ধরে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই লুকিয়ে ছিলেন ভবানীপুরের বাড়িতে। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ছাত্র-জনতা তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। ঘটনাস্থলে মুহূর্তে ভিড় জমে। শত শত মানুষ জড়ো হয়। রফিকুল বিষয়টা বুঝতে পারেন। ভয়ে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন আরিফুর রহমান মিলনের বাড়িতে। কিন্তু সেখানেও পৌঁছে যায় ছাত্র-জনতা। এবার তিনি আরও আতঙ্কিত। পালানোর জন্য খুঁজে পান না কোনো পথ। শেষ পর্যন্ত ভয়ে ঝাঁপ দেন পাশের ডোবায়।
ডোবাটি ছিল কচুরিপানায় ভর্তি। ভেবেছিল, তিনি সেখান দিয়ে পালাবেন। কিন্তু ছাত্র-জনতা তাকেও ধরে ফেলে। ডোবা থেকে তাকে টেনে তুলে আনে লোকজন। কেউ কেউ মারধর করার চেষ্টা করে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এক সময় কেশবপুরে ‘জামাল বাহিনী’ নামে ত্রাস চালাতেন তিনি। চাঁদাবাজি, নাশকতা, ভয়ভীতি ছিল তার হাতিয়ার। আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাপক ক্ষমতা দেখিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার যাওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। বছরখানেক আত্মগোপনে ছিলেন নিজ এলাকায়। কিন্তু ছাত্র-জনতার চোখকে ফাঁকি দিতে পারেননি।
বুধবার বিকেলেই তার পরিণতি হলো পুলিশের হাতে ধরা। বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। দ্রুত আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়রা বলছে, এটাই ছিল ছাত্র-জনতার জয়। এভাবেই সব অপরাধীর বিচার হোক।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেইজে ভিডিওটি দেখতে লিংকে ক্লিক করুন।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ভয়ে ডোবায় ঝাঁপ দিয়েছে সাবেক মেয়র, পরে ছাত্র জনতা আটক করেছে।
ছাত্র-জনতার শ্লোগানে মুখর পুরো এলাকা।