২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়। জুলাই ইন্টারনেট শাটডাউনে র প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে গভীরভাবে অনুভূত হয়, বিশেষত ডিজিটাল খাতের ক্ষেত্রে। ই-কমার্স, সফটওয়্যার এবং ফ্রিল্যান্সিং খাতের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।
ই-কমার্স খাতে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় প্রায় ১,৪০০ কোটি টাকার লেনদেন বাধাগ্রস্ত হয়। ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, যার ফলে ভোক্তাদের আস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। উদ্যোক্তারা বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন, যা খাতটির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিকে পিছিয়ে দিয়েছে।
সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতেও বড় ধরনের প্রভাব দেখা যায়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) জানিয়েছে, বিদেশি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় দেশের প্রযুক্তি খাতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং খাতে, প্রায় ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার জুলাই ইন্টারনেট শাটডাউনে র কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কাজ ডেলিভারি করতে না পারায় আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের আস্থা কমেছে এবং দেশের তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ইন্টারনেট শাটডাউন শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, বরং দেশের ডিজিটাল খাতের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের পথেও বাধা তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমার পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তি খাতে ভবিষ্যতে আরও চ্যালেঞ্জ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ইন্টারনেট শাটডাউনের ফলে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতি বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। তাই ভবিষ্যতে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরি।
Leave a Reply