জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণায় হাইকোর্টের রুল - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
নিষিদ্ধ আওয়ামী কর্মীদের নাশকতা—বিভিন্ন স্থানে আগুন–বিস্ফোরণ ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইবি শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন জাবিতে রাত ১০টার পর সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ জাবি ভর্তি আবেদন শুরু ২৩ নভেম্বর, চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বালিয়াকান্দিতে আই ফাউন্ডেশনের চক্ষু ক্যাম্প, শতাধিক দরিদ্র রোগী পেলেন বিনামূল্যে চিকিৎসা স্বপ্ন, সংগ্রাম আর সাফল্যের গল্প—কুবির পাঁচ কৃতি শিক্ষার্থীর বিসিএস জয়যাত্রা বিবিসিতে শেখ হাসিনা অস্বীকার করলেন গণঅভ্যুত্থান হত্যা অভিযোগ জুলাই সনদে আইনি সিল, এক ঘোষণায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙলেন ইউনূস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী ৪৪তম ও ৪৯তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণায় হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ১৭৫ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশের ইতিহাসের এক রক্তাক্ত অধ্যায় ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান’। সেই গণজাগরণে শহীদ হওয়া আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিমসহ অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি এখনও মেলেনি। অবশেষে সেই বীর সন্তানদের নিয়ে হাইকোর্টে প্রাথমিক সুবিচারের দরজা খুললো। আজ সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এক যুগান্তকারী রুল জারি করেছেন।

আদালত জানতে চেয়েছেন, কেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ হওয়া সকল শহীদকে ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না। সেই সঙ্গে শহীদদের প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য তালিকা তৈরি করে তা গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

রুলে আরও বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘নতুন বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে ঘোষণার বিষয়ে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।

রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। আদালত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শুরু হয় দেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় ছাত্র-জনতার আন্দোলন। সেই আন্দোলনে সরকারি বাহিনীর গুলিতে এবং সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হামলায় একের পর এক প্রাণ ঝরতে থাকে। ২৯ জুলাই রংপুরে বুক পেতে দিয়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। তার রক্তে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। একই দিন চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম। রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে পানি বিতরণের সময় প্রাণ হারান মীর মুগ্ধ। মৃত্যুর মুহূর্তে ‘পানি লাগবে কারও পানি’ বলে তার আকুতি হৃদয় স্পর্শ করে সারাদেশের মানুষের।

শুধু এই তিনজন নয়, আন্দোলনের পাঁচ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গুলি ও হামলায় শহীদ হন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। ইতিহাসের পাতায় তাদের ঠাঁই হয়েছে ‘জুলাই শহীদ’ নামে। তাদের এই আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে অবশেষে আদালতে উচ্চ পর্যায়ের রিট দায়ের করা হয়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT