জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেপ্তার - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
বুটেক্স স্পিনার্স ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল ‘স্পিনার্স ফিয়েস্তা ৩.০’ বছরজুড়ে ডেঙ্গুর হুমকি: টিকা আবিষ্কার হলেও কেন এখনো বাংলাদেশে ব্যবহার হচ্ছে না? ১৩ নভেম্বর ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার, সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাবি জিয়া পরিষদের সভাপতির পদ হারালেন অধ্যাপক এনামুল  দেশেই হবে বিশ্বমানের বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা, তুরস্কের বিনিয়োগে নতুন হাসপাতাল টিএফডির শিরোপা জয়, তবু বুটেক্সে অশান্তি; খেলাকেন্দ্রিক সংঘাতে তদন্ত শুরু ট্রাম্পের হুমকিতে মামদানির জবাব: উন্নয়ন তহবিল বন্ধ হলে আদালতে যাব শেকৃবিতে কর্মকর্তা–কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ও ড্রপআউট ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫
  • ১০৮ বার দেখা হয়েছে

ধরা পড়লেন জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত। ২৯৭ কোটি টাকার আলোচিত ঋণ জালিয়াতির মামলায় বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ২ নম্বর রোডের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধানমন্ডিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসির উদ্দিন ইসলাম।

গ্রেপ্তারের পরই তাকে মিরপুরে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামীকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে হস্তান্তর করা হবে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩ জুন দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে উঠে আসে, স্থাপনাবিহীন মাত্র ৩ কোটি ৪ লাখ টাকায় কেনা জমিকে ১৬৪ কোটি টাকা মূল্যায়ন দেখিয়ে ঋণ অনুমোদন, বিতরণ ও আত্মসাতের ঘটনা।

অভিযোগ অনুযায়ী, অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল সুপ্রভ স্পিনিংয়ের অনুকূলে মঞ্জুর হওয়া ১৮০ কোটি টাকার ঋণের মধ্য থেকে ৫০ কোটি টাকা গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেন। আর এ পুরো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সহায়তা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত, পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথসহ আরও অনেকে।

দুদকের দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রমাণিত হয় যে, এই বিশাল অর্থ কেলেঙ্কারির পেছনে জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাতের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল। এরপরই তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ডিবি পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে বিশেষ অভিযানে ধানমন্ডির একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করা হয়।

ব্যাংকিং খাতের অন্যতম আলোচিত এই মামলার মূল আসামি গ্রেপ্তারের খবরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমন দুর্নীতির ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশকে ফোকলা করার কোনো সুযোগ আর কাউকে দেওয়া হবে না। সবাইকেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।”

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি এখন তদন্তের শেষ ধাপে। তাকে রিমান্ডে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই অর্থ কেলেঙ্কারির সম্পূর্ণ নেপথ্যের কাহিনী বের করে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতকে রক্ষা এবং দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খুলে দেওয়ার প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT